গাইবান্ধায় কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক তিন উপজেলা থেকে শিশুসহ তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিভিন্ন সময়ে পলাশবাড়ী উপজেলা , ফুলছড়ি উপজেলা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফুলছড়ি উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে চিত্র রন্জন দাস নামে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তিনি প্রতিবন্ধী ছিলেন বলে জানা গেছে।
শনিবার দুপুরে ফুলছড়ি উপজেলার দক্ষিণ উদাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। চিত্র রন্জন দাস ওই গ্রামের দেবেন্দ্র দাসের ছেলে।
ফুলছড়ি ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্বজনদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ওই সময় চিত্র রন্জন দাস গোসল করতে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে নামেন। পুকুরে নামার পর হঠাৎ করেই তাকে আর পাওয়া না গেলে স্বজনরা পুকুরে খোঁজাঁখুজি করে ব্যর্থ হন। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে পুকুরের পানির নিচ থেকে চিত্র রন্জন দাসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া পলাশবাড়ী থানাধীন হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রায়হান আলী জানান, বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার হরিনাথপুর গ্রামের নিজ ঘর থেকে মোসলেম উদ্দিন নামে ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের অর্ধগলিত ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে । এবং লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে । এব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে ।
স্থানীয়রা জানান , মোসলেম উদ্দীনের স্ত্রী অনেক আগেই মারা গেছেন। তার একমাত্র ছেলে বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস করেন। ফলে বাড়ীতে তিনি একাই থাকতেন। দুপুরে তার ঘর থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকলে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। পরে ঘরের তীরের সঙ্গে মোসলেম উদ্দিনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানান। খরব পেয়ে পুলিশ এসে মোসলেম উদ্দিনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ।
অপরদিকে দুপুরের দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মধ্যপরাণ গ্রামে বাড়ির আঙ্গিনায় জোনাকি আকতার (২) নামে এক শিশু খেলতে গিয়ে সবার অজান্তে পুকুরে পড়ে যায়। পরে পুকুরটি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
জোনাকি আকতার ওই গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের মেয়ে।
সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরকার ইফতেখারুল বলেন, পুকুরের পানিতে পড়ে জোনাকি আকতার নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।