কুষ্টিয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে নাসির উদ্দিন বিশ্বাস (৩৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনা ঘটে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের লাহিনী চারা বটতলা এলাকার খন্দকার পাড়ায়। নিহত নাসির উদ্দিন সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের কাথুলিয়া গ্রামের সাজ্জাদ বিশ্বাসের ছেলে। তিনি ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন।
জানা যায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার লাহিনী বটতলা খন্দকারপাড়া এলাকার শওকত আলীর মেয়ে সুমাইয়া সুলতানা কাঞ্চনের স্বামী ২০১৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর ২০১৬ সালে প্রেমের সম্পর্কের জেরে কাথুলিয়া গ্রামের নাসির হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় সুমাইয়ার। আগের পক্ষের সুমাইয়ার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকেই নাসির তার বাড়িতেই থাকতো এবং সুমাইয়া ঢাকায় চাকরি করতো। সুমাইয়া কুষ্টিয়ায় বাবা বাড়িতে এলে নাসির শ্বশুরবাড়িতে আসে। পরে সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া য়ায়।
এদিকে নাসিরের শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলেছেন, সবার অজান্তে ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে নাসির। মরদেহ দড়ি থেকে নামিয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তবে নিহত নাসিরের ছোট ভাই নাজমুলের দাবি, নাসিরকে হত্যা করে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে।
নাজমুল আরো বলেন, নাসিরের স্ত্রী কাঞ্চনের প্রথম স্বামী ২০১৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। পরে ২০১৬ সালে প্রেম করে বিয়ে করে নাসির ও কাঞ্চন। কাঞ্চনের আগের পক্ষের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই নাসির তার বাড়িতে থাকতো এবং কাঞ্চন ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতো। কাঞ্চন কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে বেড়াতে আসায় নাসির শ্বশুরবাড়িতে যায়। নাসিরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আমি তাদের শাস্তি চাই।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম জানান, খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।