কক্সবাজারের চকরিয়ার বদরখালী মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য নিরাপদ জোন পরিণত হয়েছে। পাচারকৃত ইয়াবা, গাজাসহ ভয়ংকর মাদক মায়ানমার হতে নদী পথে বদরখালী নৌ-চ্যানেলের ঘাট দিয়ে খালাস হয়ে সড়ক পথে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
জানা গেছে, প্রতিদিন ভোরে ও সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেল ও সিএনজি গাড়ী করে এসব মাদকদ্রব্য পাচার হচ্ছে। বিশেষ করে উপকূলের বৃহত্তর বদরখালী বাজারের বিভিন্ন স্পর্টে চলছে মাদক ও জুয়ার ওপেন সিক্রেট। বিশেষ করে অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ীর সদস্যরা চিরতরে চলে যাওয়ার পর থেকে মাদকের পাশা-পাশি আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মাদকের ছোবলে এলাকার উঠতি বয়সের যুব সমাজ ধ্বংসের পাশা-পাশি চুরি, ছিনতাই ও মারামারিতে লিপ্ত হচ্ছে।
বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভূট্টো সিকদার জানান, এই উপকূলীয় ইউনিয়নের মানুষের জানমাল নিরাপত্তার জন্য একটি স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ী স্থানীয়দের প্রাণের দাবিতে পরিণিত হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসন আন্তরিক দিক দিয়ে বিবেচনা করবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে বিভিন্ন সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ইয়াবা, বাংলা মদ ও গাজা ধরা পড়লেও বিগত গত কয়েক মাসে স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উল্লেখ্য কোন অভিযান দেখা যায়নি। আর এতে করে বলা চলে মোটামুটি নিরাপদেই মাদক কারবারি চালিয়ে যাচ্ছেন একটি মহল। সন্ধ্যা নামলেই বদরখালী বাজারের বিভিন্ন পয়েন্ট, পাড়া-মহল্লায় চলে মাদক সেবন ও বসে জুয়ার আসর। এছাড়া বিভিন্ন হোটেলে পতিতার হাট বসে বলে ও অভিযোগ রয়েছে বদরখালী বাজারে। বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ও মাসোহারায় চলছে এসব অবৈধ কর্মকান্ড বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি কিশোর গ্যাং এর চুরিঘাতে রাসেল বাহাদুর নামে একজন খুন হয়েছেন। ঝগড়া মারামারি হয়েছে শতাধিক। বদরখালী ফেরী ঘাট সিএনজি স্টেশন, বাজার ঘাট ও বাজারের বিভিন্ন স্পট ও অলিগলিতে উঠতি বয়সি কিশোর গ্যাংদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করছে বদরখালীর আইনশৃঙ্খলা।
বদরখালী বাজারের ব্যবসায়ী ও কক্সবাজার উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরামের অর্থ সম্পাদক আলো উদ্দিন আলো জানিয়েছেন, একাধিক জায়গায় বাংলা মদ, গাজা ও ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে। পাশা-পাশি পুলিশ ফাঁড়ী না থাকায় আমরা ব্যবসায়ীরা শঙ্কিত। অতিদ্রুত প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশ ফাঁড়ী স্থাপন করবেন। না হয় পুরাতন পুলিশ ফাঁড়ীতে পূর্বের ন্যায় পুলিশ সদস্য দিয়ে বদরখালীর আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখবে।
চকরিয়া থানার ওসি চন্দ্র কুমার চক্রবর্তী বলেন, আমাদের যে কেউ তথ্য দিলে আমরা অভিযান করব। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা অটল। কোথায় জুয়া হয় আমাদের তথ্য দিন আমরা অভিযান করব। আর পুলিশ ফাঁড়ীর ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান।