সিলেট বিভাগের তিন জেলায় পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। মহাসড়কে থ্রি হুইলারসহ প্রশাসনের হয়রানি বন্ধে এ ধর্মঘট চলছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। আগামীকাল শনিবার থেকে শুরু হবে সিলেট জেলায়।
শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া দুদিনের ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। বাস না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ বাড়তি ভাড়ায় বিকল্প যানবাহনে রওনা হন।
এদিকে বিএনপির অভিযোগ, আগামীকাল বিভাগীয় গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতেই এমন সিদ্ধান্ত। পুরো বিভাগে ধর্মঘট বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, এটা বোঝার বাকি নেই, কারা কী জন্য ধর্মঘট আহ্বান করেছে। কিন্তু তারা জানে না কায়দা করে ধর্মঘট করে জনরোষ আটকানো যাবে না।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি কলিম উদ্দিন জানান, ধর্মঘট দিয়ে আমাদের সমাবেশে যাওয়া বন্ধ করতে পারবে না সরকার। সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সুনামগঞ্জ থেকে ৫০ হাজার নেতাকর্মী সিলেটে যাবেন। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা ট্রলার ও স্টিল বডি নৌকা দিয়ে সিলেটের পথে রওনা হয়েছেন।
জেলা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া জানান, পাথর কোয়ারি চালু, সিএনজি অটোরিকশার নতুন রেজিস্ট্রেশন বন্ধসহ চার দফা দাবিতে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। এটা ধারাবাহিক আন্দোলন।
গত ২২ জুলাই থেকে শুরু হওয়া বিএনপির ইস্যুভিত্তিক এই আন্দোলন বিভাগীয় পর্যায়ের গণসমাবেশের কর্মসূচিতে রূপ নিয়েছে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় সব বিভাগে গণসমাবেশের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গত ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে প্রথম কর্মসূচি পালন করে। এরপর ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে। ২২ অক্টোবর খুলনায়। ২৯ অক্টোবর রংপুর। ৫ নভেম্বর বরিশাল। এবং সর্বশেষ ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে গণসমাবেশ করে বিএনপি।
আগামীকাল ১৯ নভেম্বর সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী এবং ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে বিএনপির তৃতীয় ধাপের কর্মসূচি শেষ হবে।
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন সরকার, জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মী হত্যা, হামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে গণসমাবেশের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।