× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

মেহেরপুর সীমান্তে ওমিক্রণ আতঙ্ক, কাঁটাতার গলিয়ে আবাধে ঢুকছে ভারতীয়রা

মেহেরপুর প্রতিনিধি

২৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:৩০ এএম

ভারত সীমান্তের কাঁটাতার গলিয়ে আবাধে মেহেরপুর সীমান্তের মধ্যে ঢুকে পড়ছে ভারতীয় নাগরিকরা। ভারতীয় নাগরিকরা কাঁটাতারের এপারে এসে কৃষিকাজ সহ বাংলাদেশী নাগরিকদের সাথে অবাধে মেলামেশা সহ বিভিন্ন ভাবে সংস্পর্শে আসছেন। এতে করে সীমান্তবর্তী এই জেলাই ভারতীয় ভেরিয়েন্টও ওমিক্রণ আতঙ্ক বিরাজ করছে জনমনে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে নজরদারী না বাড়ালে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে বাংলাদেশের জন্য। তবে সংশ্লিস্টরা বলছেন-করোনা প্রতিরোধে বিজিবি, স্বাস্থ্য বিভাগ সহ প্রশাসন সম্মন্নিতভাবে কাজ করছেন। আহবান জানাচ্ছেন মানুুষকে সচেতন করতে। সীমান্তবর্তী বুড়িপোতা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমাদের ওপারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাহাপুর গ্রাম, তাদের সীমানার এপারে কৃষিজমি থাকায় তারা জমি চাষের সুযোগে আমাদের গ্রামে প্রবেশ করে। একই নলকুপে ভারতীয ও বাংলাদেশীরাা মুখ দিয়ে পানি পান করে। ওমিক্রন ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে তাই ভারতীয় ওমিক্রন আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা আছে।

মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ও শালিকা গ্রামের ওপারে পশ্চিমবঙ্গের সাহাপুর ও নবীননগর গ্রাম। ভারতের এই দুই গ্রামের মানুষের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাটাতারের গেট খুলে দিচ্ছে বিএস এফ। এসময় অবাধে ভারতের কৃষকরা আসছে তাদের কৃষি জমি চাষ করতে, অবাধে মেলামেশা করছেন বাংলাদেশি কৃষকদের সাথে। নোমান্সল্যান্ডে নিজের জমিতে কাজ করলেও খাওয়াদাওয়া কেনাকাটা সহবিভিন্ন গল্পে মাতছেন বাংলাদেশিদের সাথে। জমি চাষের সুযোগে বেড়িয়ে যাচ্ছেন আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি থেকেও। এমন বাস্তবতার চিত্রে ভেরিয়েন্ট আতংক বাড়ছে জনমনে।

মেহেরপুর জেলার ১১১ কিলোমিটার সীমান্তে এই ধরনের ৭৬টি পয়েন্ট দিয়ে ভারতীয় নাগরিক ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশী ভুখন্ডে, কাজ শেষ করে নিজ বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। কিন্তু ভারতীয় ভেরিয়েন্ট ওমিক্রণ রেখে যাচ্ছেন কিনা সে প্রশ্ন সীমান্তে লাগোয়া বসবাসকারিদের। ভারতের কৃষক সাহপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার মুকুন্দরাম ঢালি জানান, আমি ৩ বিঘা জমিতে স্ববজি চাষ করতে এপারে আসি, আমাদের এদিকে ভেরিয়েন্ট কম। জমি চাষ করতে আসা আরেক ভারতীয় নাগরিক সাহপুরের সুনীল মন্ডল জানান, আমিও চাষ করতে এপারে আসি, আমাদের একটি নির্দিষ্ট টাইমে আইডি কার্ড জমা রেখে আসতে হয় আবার নির্দিষ্ট টাইমে চলে যেতে হয়।

সদর উপজেলার শালিকা গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক জানান, তারা জমি চাষ করতে এপারে আসে, মাঠে তাদের আত্মীয় স্বজনের সাথে মেলামেশা করে। তারা আমাদের এখান থেকে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাও,তারাও নিয়ে আসে, তদের অনেক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতেও যাওয়া আসা করে আবার টাইম মত ফিরে যায়।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, সীমান্তবর্তী জেলা মেহেরপুর। তারকাটা পার হয়ে এসে অবাধে ভারতীয় নাগরীকরা আমাদের দেশের কৃষকের সাথে মেলামেশা করছে। তাই  ভারতের যে ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন আছে, তাদের মাধ্যমে যেনো ওমিক্রণ আমাদের দেশে ছড়াতে না পারে তার জন্য বর্ডার বন্ধ বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নজরদারি বাড়ানো দরকার।

চুয়াডাঙ্গাস্থ বিজিবি-৬ এর পরিচালক লে কর্নেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান জানান, তারা তাদের কার্ড জমা রেখে গেট দিয়ে এপারে আসছে জমি চাষ করতে, সেই সুযোগে তারা বিভিন্ন ভাবে গ্রামে ঢুকে পরে, আমরাও মাঝে মাঝে এমনটা পেয়েছি। আমরা খুবই সর্তক ভবিষ্যতে আরো নজরদারি বাড়ানো হবে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.