বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি শেখ আরিফুল ইসলাম সহ ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৪টি ককটেল ও লাঠি জব্দ করা হয়েছে। এঘটনায় জেলা জামায়াতের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুরুল হক রাহাতসহ ২০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ৪০ জনকে আসামী করে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে পুলিশ। সোমবার (৫ডিসেম্বর) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠিয়েছে মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শেখ আরিফুল ইসলাম (৩২), মো. মোক্তারুজ্জামান (২৪), হাম্মাম বিন আজাদ (৩৩), মো. তারিকুল ইসলাম (২৭) ও মো. জাকারিয়া (৪০)। গ্রেফতারকৃতরা সবাই জামায়াত ও শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
তবে মামলাটিকে গায়েবি ও হয়রানিমূলক দাবি করে জেলা জামায়াতের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল ওয়াদুদ বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে জামায়ত-শিবিরের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে পুলিশ। নেতাকর্মীরা কোনো ধরণের অপরাধের সাথে জড়িত নয় বলে দাবি করেন এই নেতা।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম জানান, জামায়াত-শিবিরের নেতাকমর্ীরা নাশকতার পরিকল্পনা করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মডেল থানা পুলিশ সোমবার সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪টি ককটেল ও লাঠিসহ জামায়াত-শিবিরের ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা দিয়ে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলায় জেলা জামায়াতের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুরুল হক রাহাতসহ ২০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ৪০ জনকে আসামী করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।