বরগুনায় টিকার কার্ড ও ডেলিভারি করিয়ে অর্থ আদায়, দায়িত্ব অবহেলা, ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারীর বিরুদ্ধে। ওই স্বাস্থ্য সহযোগীর মতমাজ বেগম।
খোজ নিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের একটি ক্লিনিকে কর্মরত আছেন মমতাজ। তিনি শিশুদের ও গর্ভবতী মায়েদের টিকার জন্য তার কাছে গেলে টিকার কার্ড অফিস থেকে দেওয়া হয় না বলে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করেন তিনি ৫০ থেকে ২০০ টাকা দিলে টিকার কার্ড মিলে। ৫০ টাকা দিলে টিকার কার্ডের ফটোকপি ও ২০০ টাকা দিলে টিকার কার্ডের স্ক্যানিং কপি দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী ইলিয়াস মিয়া বলেন, আমার স্ত্রীর প্রবস বেদনা শুরু হলে মমতাজ আমাদের বাড়িতে চলে আসে। কিছুক্ষণ পরে তার সহযোগিতায় ছাড়াই স্থানীয় দাত্রী স্ত্রীকে প্রসব করান। এরপর মমতাজ আমার কাছে ৬ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি টাকা না দেয়ায় সে টিকা কার্ড না দেয়ার ভয় দেখান৷ তবুও তাকে টাকা দেইনি বলে বিভিন্ন যায়গায় আমাকে ও আমার স্ত্রীকে অপমান ও গালিগালাজ করেন। শুধু ইলিয়াসই নয়, এমন অভিযোগ একাধিক ভুক্তভোগীর।
সোনিয়া আক্তার নামে আরেক গৃহবধূ বলেন, মমতাজ আপার কাছে গেলে টাকা চায়। চিকিৎসা ও ঔষধ আনতে পেলেও তাকে টাকা দিতে হয়। টিকার কার্ডের জন্য ২০০ টাকা দিতে হয়। এছাড়াও বিভিন্ন অজুহাত দেখায় তিনি৷ তার কাছে আমরা গ্রামবাসীরা জিম্মি।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসানের সঙ্গে যোগাযোগোর চেষ্টা করা হয়। তার ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্ত মমতাজ বেগমের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার টি বন্ধ পাওয়া যায়।
লেমুয়া কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) তরিকুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘদিন সুনামের সহিত এই ক্লিনিকে কাজ করে আসছি।টিকার কার্ডে অর্থ নেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, টিকার কার্ড আমি দেই না এটি আমাদের স্বাস্থ্য সহকারী মমতাজ বেগম দিয়ে থাকেন আমার কাছে এর আগে অনেক মায়েরা অভিযোগ করেছেন টিকার কার্ড নিতে হলে তাকে অর্থ দিতে হয়। আমি আদৌ জানিনা টিকের কার্ড নিতে কেন তিনি এই অর্থ আদায় করছেন।
বরগুনা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ফজলুর হক বলেন, সরকারি সেবায় কোন ধরনের টাকা পয়সা নেয়ার বিধান নেই। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখব। ও স্বাস্থ্য সহকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।