নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৪২তম জন্মবার্ষিকী ও ৯০তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আত্মপ্রত্যয়ী ও সংগ্রামী নারী হিসেবে নোয়াখালীতে ৫ নারীকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে নিজ সম্মেলন কক্ষে চার ক্যাটাগরিতে এসব নারীদের হাতে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।
সম্মাননাপ্রাপ্ত নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী রুমী আক্তার, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে মমতাজ বেগম, সফল জননী যষদা রানী দাস, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা রোজিনা আক্তার ও সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখায় জেসমিন আক্তার।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, এই জয়িতারাই সমাজের আলোকিত মানুষ। নারীরা শিক্ষিত হলে ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়িত হলে আলোকিত দেশ ও সমাজ গড়ে ওঠে। দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্সের যে জয়জায়কার, তার পেছনে রয়েছে জয়িতা কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। যার ফলে নারীরা আর্থিক স্বচ্ছলতা ও স্বাবলম্বিতা অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ ও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে।
শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সম্মাননা পাওয়া মমতাজ বেগম বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক শেষে আমার বিয়ে হয়। শহরে বড় হলেও স্বামীর বাড়ি গ্রামে থাকতে হয়। সব সংগ্রামী নারীদের পাশে একজন পুরুষের অবদান রয়েছে। স্বামী ও শ্বশুরের সহযোগিতায় আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি নিই। শিক্ষাকতার পাশাপাশি আমি সংসার সামলিয়েছি।
সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখায় সম্মাননা পাওয়া জেসমিন আক্তার বলেন, সমাজ উন্নয়নে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা এগিয়ে আসছেন। বৃক্ষরোপণসহ যেকোনো সামাজিক কাজে আমি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই। আজকের এই সম্মাননা আমার কাজের অনুপ্রেরণা জোগাবে।
রুমী আক্তার নামের আরেকজন বলেন, আমি নোয়াখালীর সদর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে থাকি। পড়াশোনার পাশাপাশি বুটিক ও কুটিরশিল্প কারখানা করেছি। আমার মাধ্যমে নারীরা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। বেগম রোকেয়ার মতো নারীরা এগিয়ে যাক এই প্রত্যাশা করছি।
জেলা মহিলা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কামরুন নাহারের সঞ্চালনের ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসরাত সাদমীনের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) বিজয়া সেন, সাংবাদিক আবু নাছের মঞ্জু প্রমুখ।