কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে বাগেরহাট জেলা বিএনপির গণমিছিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কর্মসূচি ছিল জেলা বিএনপি অফিস থানার মোড়ে। সকাল থেকেই জেলা বিএনপি অফিস ছিলো পুলিশের দখলে। পুলিশি তৎপরতায় বিএনপি নেতা কর্মী সমর্থকেরা জড়ো হতে পারেনি কোথাও। পুরো শহর ছিলো ছাত্রলীগ যুবলীগের দখলে।
তবে জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে জানা গেছে, তাদের তিন সহস্রাধিক নেতা কর্মী সমর্থক জড়ো হয়েছিল জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট কাটাখালী মোড়ে, সেখানে তারা মিছিলও করেছে।
জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে জানান, ভাঙচুর করা হয়েছে বাগেরহাট জেলা বিএনপি আহবায়ক ইঞ্জি. এটিএম আকরাম হোসেন তালিমের বাড়ি, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালামের অফিস এবং জেলা শ্রমিকদল সভাপতি সর্দার লিয়াকত আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর সহ ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
বাগেরহাট জেলা বিএনপি আহ্বায়ক ইঞ্জি. এটিএম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, বাড়িতে তার চাচাতভাই আলী রেজা আহম্মেদ কামালের স্ত্রী ফাতেমা বেগমের মৃত্যুতে সবাই শোকাহত ছিল। ওই সময় বাড়িতে শোকাহতদের সান্তনা দিতে আসা লোকজন ও মাইয়েতের গোসল করানোর প্রস্তুতির সময়ে সন্ত্রাসীরা বাড়ীতে আগত শোক সন্তপ্ত লোকদের মারধর, ঘরের দরজা, জানালা ও চেয়ার ভাঙচুর করে। ফাতেমা বেগম কেন্দ্রিয় আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সদ্য প্রয়াত ডা. এসএ মালেকের ভাগিনি। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বেশ কয়েকজন বিএনপির কর্মী সমর্থক আটক করেছে পুলিশ। ভাংচুর করা হয়েছে বাড়ি অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। লুটপাটও করেছে সন্ত্রাসী বাহিনী।
জেলা শ্রমিকদল সভাপতি সর্দার লিয়াকত আলী বলেন, আজ বেলা ১২ টার দিকে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স সরদার এন্টারপ্রাইজ ভাঙচুর সহ ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার "মিরাজ হোসেন মিলু"কেও পিটিয়ে আহত করেছে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তার অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
অপরদিকে জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা রেজাউল করীম জানান, কেন্দ্রিয় কর্মসূচি পালন শেষে ফেরার পথে শিশুসহ ১৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে আটককৃত ও ভাংচুরের ঘটনা বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ স্বীকার করে নি।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম মুঠোফোনে ১৩ জন আটকের কথা স্বীকার করেন।
তবে ভাঙচুরের ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান তিনি।
তবে আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ জেলার ফকিরহাট থানার নাশকতার একটি মামলায় শিশু কিশোর সহ ২১জনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা হলেন, মোল্লা কামরুজ্জামান বাবু (৫০) , শরিফুল ইসলাম (২৫), ফাহিম মুনতাসীর (১৯), আব্দুর রহমান (৫৫), সারোয়ার হাওলাদার (৬৫), রিয়াজুল ইসলাম (২২), আব্দুল্লাহ (১৮), মঈনুদ্দিন, দেলোয়ার হাওলাদার , জহুর আলী (২২), শেখ সামাদ (৩৬), সৈয়দ কুদরত এলাহী (৩২), কাজী মোফাচ্ছের হোসেন (৬৭), হেলাল শেখ , মো. কাইয়ুম শেখ (৪৯), সরোয়ার সর্দার, শিশু কিশোর তানভীর হাসান (১৫), আরিফ বিল্লাহ (১৬), কাওসার (১৫) মল্লিক মিঠুন (১৬) ও মিরাজ শেখ (১৬)।
© 2023 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh