ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় মেহগনি গাছের ছাল খাওয়া নিয়ে দুই পরিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় মতিউর রহমান তারা (৬০) নামের ব্যাক্তি নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের যোগারদিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে তাহমিনা বেগম (৫৩) ও তার ছেলে সজল (২২) কে নিয়ে বাড়ির পাশে সাবেক চেয়ারমান হাবিবুর রহমান হবির বাড়ির সামনে সুপারি সংগ্রহ করতে যায়। সেখানে তাদের বাগানের মেহগনি গাছের ছাল উঠানো দেখতে পেয়ে গালিগালাজ করে। এসময় মতিউর রহমান তারা ও তার দুই ছেলে, লেলিন ও প্রিন্স আগাইয়া আসে। এসময় দুই পরিবারের লোকজন এগিয়ে গেলে তাহমিনা ও তারার পরিবারের সদস্যদের সাথে হাতাহাতি হয়।
ডাক চিৎকারে দুই পরিবারের আরও সদস্য আগাইওয়া গেলে গাছের ডাল ও বাশঁ দিয়ে মারামারি হয়। এসময় মতিউর রহমান তারা আহত হন। পরিবারের সদস্যরা তাকে ফরিদপুর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহতের ভাই আজিজুর বলেন, মেহগনি গছের ছাল খাওয়া নিয়ে ওরা গালিগালাজ করে এসময় মতিউর রহমান তারার ছেলে এগিয়ে গিয়ে গালিগালাজ করার কারন জিজ্ঞেস করলে, পাচু্র ছেলেরা ও ওহাবের ছেলেরা এবং মহিলাদের সাথে মতিউর রহমানের ছেলেদের সাথে মারামারি লাগে, তারা সেই মারামারি ঠেকাতে গেলে তাকেসহ ওরা মারধর করে। এসময় তিনি আহত হন।
মৃত ওহাবের স্ত্রী তাহমিনা বেগম বলেন, আমার ছোট ছেলে সজলকে নিয়ে সুপারি সংগ্রহ করতে তারাদের বাড়ির পাশে বাগানে যাই, সেখানে আমাদের মেহগনি গাছের ছাল গরু/ছাগলে খেয়ে ফেলছে এই জন্য আমার ছেলে গালিগালাজ করে, তারার ছেলেরা আসে এরপর তারাও আছে কোদাল নিয়ে আমার ছেলেকে মারতে গেছে হুমকি-ধামকি দেয়, সে আগে থেকেই স্টোকের রুগী চিল্লাচিল্লি করার কারণে সে স্ট্রোক করে পড়ে যায়।
সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদি বলেন, খবর পেয়ে পুুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সান্ত করে, এলাকার পরিবেশ সান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।