লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা নদীর উপর বাঁধ দিয়ে ইটভাটায় মাটি নেওয়ার জন্য রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন দরে একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল হোসেন নিজস্ব শ্রমিক দিয়ে এ বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ করাচ্ছেন।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী মিয়ার হাট বাজার রাহুল ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, আবুল হোসেনের লোকেরা রাস্তা নির্মাণ করতে ব্যস্ত। নদীর দুই পাড় থেকে মাটি কেটেই নির্মিত হচ্ছে এ রাস্তা।
রাস্তাটি দিয়ে শক্তিশালী ট্রাক্টর-ট্রলির মাধ্যমে মাটি পরিবহনের পায়তারা চলছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
জানা যায়, আবুল হোসেন মেম্বার স্থানীয় প্রভাবশালী। তিনি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কৃষিজমি থেকে মাটি নেওয়ার পাঁয়তারা করছেন। বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণের জন্য স্থানীয় কৃষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নামমাত্র মূল্যে আশপাশের উর্বর মাটি হাতিয়ে নিতে এই রাস্তা নির্মাণ করছেন।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, নদীতে বাঁধ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করায় আগামী বর্ষায় আশপাশের ঘরবাড়িগুলোতে পানি ঢুকে যেতে পারে। এতে দুর্ভোগে পড়বে শত শত পরিবার। ডুবে যাবে কয়েক হাজার একর ফসলীজমি। আবার শুষ্ক মৌসুমে বাঁধের কারণে পানি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে না। ফলে সয়াবিন, মরিচ, তরমুজসহ বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি উৎপাদন ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো মুহূর্তে আবুল হোসেন মেম্বারের লোকজনের সঙ্গে স্থানীয় কৃষকদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানান অনেকে।
এ ব্যাপারে জানতে আবুল হোসেন মেম্বারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ফোনে রিং বাজলেও উনি রিসিভ করেন না।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অন্জন দাশ জানান, নদীতে বাঁধ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করার বিষয়টি শুনেছি। ইচ্ছা করলেই কেউ নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করতে পারে না। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়া হচ্ছে।