কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষ করে থার্টি ফার্স্ট নাইটের রাতে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক আতশবাজি ফোটানো হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর শেষ করে রবিবার রাত ১২ টা অতিক্রম করার সাথে সাথে শুরু হয় আতশবাজি ফুটানোর শব্দ। ক্রমাগত থেমে থেমে ফুটানো হয় আতশবাজি। উপজেলা শহর থেকে শুরু করে গ্রামেও এমন অবস্থা চলে।
একদিকে বিকট শব্দ অপরদিকে আলোর ঝলকানিতে ঘুমন্ত পাখিদের মধ্যে সৃষ্টি হয় আতংক। ভয়ে এদিকসেদিক ছুটাছুটি করা শুরু করে। নিস্তব্ধ রাতের নীরবতা ভেংগে পাখিদের ভয়ার্ত গগনবিদারী শব্দ শুরু হয়। ঝোপঝাড় গাছপালা থেকে পাখিরা বের হয়ে আসে। অনেক পাখি বাড়িঘরে ডুকে পড়ে এবং উঁচু বিল্ডিং এ আশ্রয় নেয়। সবচেয়ে বেশি পাখি নদীর উপর এবং খোলা স্থানে এসে আশ্রয় নিতে দেখা যায়। এছাড়াও বয়স্ক এবং অসুস্থ মানুষও এসব শব্দে কষ্টের শিকার হতে হয়।
এ বিষয়ে সচেতন মহলের সাথে কথা বললে তাদের অভিমত, প্রকৃতিকে আমাদেরকে টিকিয়ে রাখতে হবে। নিজেদের সচেতনতা ছাড়া এটি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। বিভিন্ন পোগ্রামে উচ্চ শব্দের সাউন্ড বক্সের আবাদ ব্যাবহার বাড়ছে। মাটি কাঁপানো শব্দে প্রতি রাতেই কোন না কোন যায়গায় এর ব্যাবহার হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আতশবাজি করা হচ্ছে রাতে। এগুলো পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পরছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ আনা দরকার।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ উসমান গণী বলেন,'হঠাৎ বিকট শব্দের কারণে পশু পাখির মধ্যে আতংক তৈরি হতে পারে। এর ফলে উচ্চরক্তচাপ বেড়ে গিয়ে স্টোকের সৃষ্টি হয়ে পশুপাখির মৃত্যুর কারণ হতে পারে'।
উপজেলা বন কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ বলেন,'পরিবেশ প্রকৃতি রক্ষায় আমাদের সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে আতশবাজি গুলো যদি পাখির অভয়ারণ্য নয় এমন খোলা যায়গায় ফুটানো হয় তাহলে কিছুটা হলেও কমবে। তবে গভীর রাতে আতশবাজি না করাই ভালো'।