‘সবাই মিলে দেবো কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’ স্লোগানে ২০২১-২২ করবর্ষে রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও ৫ জেলায় ৪২ জনকে সম্মাননা দেওয়া হয়। রাজশাহী কর অঞ্চলে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, নাটোর ও নওগাঁ জেলা এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৭ জন করে ৪২ সেরা করদাতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাজশাহী নগরীর মনি বাজার নানকিং দরবার হলে রাজশাহী কর অঞ্চলের সেরা করদাতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ৪(চার) টি ক্যাটাগরিতে (দীর্ঘ সময় কর প্রদানকারী, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী মহিলা ও তরুণ পুরুষ সর্বোচ্চ করদাতা মোট ৪১(একচল্লিশ) জন সেরা করদাতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
কর অঞ্চল রাজশাহীর কর কমিশনার মোঃ নূরুজ্জামান খান'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মিজ্ শাহীন আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কর কমিশনার শামীমুর রহমান, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুর রহমান ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সার্কেল-১৩'র উপ কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং কর পরিদর্শক আয়েশা বিনতে মিজান।
রাষ্ট্রের ব্যয় নির্বাহসহ সম্পদের সুষম বন্টন ও সামাজিক বৈষম্য নিরসনে আয়করের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় সেরা করদাতা হয়েছেন আবদুল আওয়াল, নাসিমুল গণি খান ও পিপলু ইসলাম। সর্বোচ্চ নারী করদাতা হয়েছেন নূরজাহান বেগম। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে কর প্রদানকারীর সম্মাননা পেয়েছেন হেকমত উল্লাহ ও নির্মল কর্মকার। আর তরুণ করদাতা হয়েছেন পাভেল হোসেন।
রাজশাহী জেলায় সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন মো. মুখলেসুর রহমান, মো. বেলাল উদ্দিন ও কাজী মাহমুদুল হাসান। দীর্ঘদিন ধরে কর প্রদানকারী শামসুন্নাহার ইসলাম ও মোহন কুমার আগারওয়ালা। জেলায় সর্বোচ্চ করদাতা নারী শরিফা পারভীন ও তরুণ করদাতা হয়েছেন মনিরুল ইসলাম।
এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বাবুল হাসনাত, শাহ্ আলমগীর ও সেলিম রেজা সর্বোচ্চ করদাতা হয়েছেন। পাবনায় তপন চৌধুরী, অঞ্জন চৌধুরী ও স্যামুয়েল এস চৌধুরী। নাটোরে ফখরুদ্দিন তুহিন, সুজিত কুমার ও আনোয়ার হোসেন।
নওগাঁয় দ্বিজেন্দ্রনাথ ঘোষ, হারুন অর রশিদ ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সর্বোচ্চ করদাতার পুরস্কার পেয়েছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মিজ্ শাহীন আক্তার বলেন, ‘অনেকেই বলেন, কর কেন দেব ? কিন্তু মনে রাখতে হবে, এ দেশ আমার। আর এ জন্যই কর দিতে হবে।’ তিনি বলেন, বর্তমানে যে ট্যাক্স কার্ড দেওয়া হয়, সেখানে খুব কমসংখ্যক মানুষই বিভিন্ন সুযোগ পান। এ সুযোগ সবার জন্য নিশ্চিত করতে রাজস্ব বোর্ড একটি কমিটি করেছে। এই কার্ড দিয়ে যাতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সুবিধা পাওয়া যায়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভা হবে। এই কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এটা শেষ পর্যায়ে আছে।