× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:১০ এএম । আপডেটঃ ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:১১ এএম

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের কোটি টাকা মূল্যোর জমি ভূয়া নামজারীতে বেহাত । ভোলার চরফ্যাশনের চর মানিকা ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা(তহশীলদার)’র ও মাদ্রাসা শিক্ষক ফরিদ উদ্দিনের ফাঁদে ৪০ বছরের ভোগদখলীয় জমি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত  শিক্ষক নুরুল আমিন হাওলাদারের পরিবার।

চর আইচা মৌজার ৫৫০ খতিয়ানের দাতা আবদুস সাত্তরের তার ভোগদখলীয় জমি তিন ক্রেতার কাছে বিক্রির পর তার খতিয়ানে অবশিষ্ট দশমিক ৫০ শতাংশ জমি থাকলেও খতিয়ান গোপন করে আবদুস সাত্তার মাদ্রাসা শিক্ষক ফরিদ উদ্দিনের কাছে ওই খতিয়ানে আরও ৩১ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। ফরিদ উদ্দিন  উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার সাথে আতাঁত করে ওই ভুতুরে দলিল দেখিয়ে ৩১ শতাংশ জমি নিজের নামে নামজারী করে নেন।

ওই ভূয়া নামজারী দিয়ে ফরিদ উদ্দিন অবসরপ্রাপ্ত  শিক্ষক নুরুল আমিন হাওলাদারের কোটি টাকার মূল্যের ৮২ শতাংশ জমি জবর দখল করে বাড়ি নির্মান কাজ শুরু করেন।

উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশীলদার)  ও মাদ্রাসা শিক্ষক ফরিদ উদ্দিনের কারসাজিতে জবর দখল হওয়ার পর থানা পুলিশের সহযোগিতার চেয়ে কোন প্রতিকার না পেয়ে তার ভোগদখলীয় ব্যহাত হাওয়া জমি পুণঃদ্ধার চেয়ে প্রশাসনের উপরস্থ কর্মকর্তাদের সহযোতিতার জন্য গতকাল রোববার সকালে অবসরপ্রাপ্ত  শিক্ষক নুরুল আমিন হাওলাদার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন।   

অবসরপ্রাপ্ত  শিক্ষক নুরুল আমিন হাওলাদার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, চর আইচা মৌজার ৫৫০ খতিয়ানে  ১৯৭৯ সনে সানু মিয়ার কাছ থেকে ৮২ শতাংশ জমি খরিদ করে প্রায় ৪০ বছর যাবত ভোগ দলে আছেন।
ওই খতিয়ানে ১ একর ৪৬ শতাংশ জমির সম্মুক অংশে রেকর্ডভূক্ত মালিক ছিলেন সানু মিয়ার ভাতিজা জনৈক আবদুস সাত্তার। যা থেকে আবদুস সাত্তার ১৯৯৬ সনে নুরুল আমিন মুন্সির কাছে সাড়ে ৬২ শতাংশ, ১৯৯৮ সনে শাহ আলমের কাছে ৬২ শতাংশ এবং একই বছরে জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ২১ শতাংশসহ মোট ১ একর ৪৫ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি সাব কাবলা বিক্রি করেন। সংশ্লিষ্ট তিন ক্রেতাই তাদের জমি নিজ নিজ নামে জমাখারিজ করে নেন। ফলে আবদুস সাত্তারের খতিয়ানে অবশিষ্ট জমি ছিল দশমিক ৫০ শতাংশ মাত্র। কিন্ত খতিয়ানে দশমিক ৫০ শতাংশ জমি থাকা অবস্থায় আবদুস সাত্তার ২০২১ সনে মাদ্রাসা শিক্ষক ফরিদ উদ্দিনের কাছে ৩১ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। 

মাদ্রাসা শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন চর মানিকা ভূমি অফিসের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কর্মকর্তা মারুফ হোসেনকে ম্যানেজ করে জমির ভুতুড়ে দলিল দেখিয়ে তার নামে ৩১ শতাংশ জমি নামজারী করে নেন। এঘটনায় তিনি ২০২২সনের ২৭০-এফ/২০২১-২০২২ মিস কেইচের মাধ্যমে ফরিদ উদ্দিনের নামীয় নামজারী বাতিল চেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভুমি) বরাবারে আবেদন করেন। যা এখন তদন্ত চলমান আছে। মিস কেইচ ও সার্ভেয়ারের তদন্ত চলমান থাকলেও ফরিদ উদ্দিন ৩১ শতাংশ জমির ভুতুরে দলিল ও নামজারী দিয়ে এখন তার ৪০ বছরের ভোগদখলীয় ৮২ শতাংশ জমি জবর দখল করে বাড়িঘর তৈরী করছেন। তার ভোদখলীয় জমি জবর দখলে বেহাত হওয়ায় সর্বশান্ত হয়ে পরেছেন তিনি এবং তার পরিবার।
অভিযোগ প্রসঙ্গে চর মানিকা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মারুফ হোসেন জানান, ভূল হয়েছে। এ বিষয়ে একটি মিস কেইচ চলমান আছে। যেখানে পূর্ববর্তী মিসকেইচ বাতিল করে ফরিদ উদ্দনের নামে সৃজিত খতিয়ানটি বাতিলের প্রস্তব দেয়া হয়েছে। 
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল মতিন খান জানান, এবিষয়য়ে একটি মিস কেইচ চলমান আছে। ভূক্তভোগিদের কাগজ পত্র যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.