ডাক্তার না হয়েও ডাক্তার বনে গেছেন মুন্সীগঞ্জের মনিরুজ্জামান বুলেট। নিজেকে একজন ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দেন। কাশির রোগীকে হ্যান্ডওয়াস (হেক্সাসল) খাইয়ে দিলেন ভুয়া পল্লীচিকিৎসক মনিরুজ্জামান বুলেট।
যুগিনীঘাট ইয়াসিন বাজারের নিচতলার ফার্মেসির প্রোপাইটর তিনি। ঠান্ডা ও কাশির জন্য চিকিৎসা নিতে আসেন একই গ্রামের ইছন পাগলার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৫০)।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার সময় অসুস্থ হয়ে পল্লীচিকিৎসক মনিরুজ্জামানের কাছে যান জাহাঙ্গীর হোসেন। গতকাল শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) জাহাঙ্গীরের বাড়িতে যাওয়ার পর স্ত্রী রেখা বেগম এই অভিযোগ করেছেন।
ঠান্ডা ও কাশিজনিত রোগী জাহাঙ্গীরকে একমি কোম্পানির মোনাস মনটুলুকাস প্যাকেটের একটি সিরাপ দেন। সিরাপের প্যাকেটের ভেতরে ক্লিনসোল এইসপি এনট্রিমাইক্রোবায়াল হ্যান্ড রাব সলুয়েশন। সেই ক্লিনসোল এইসপি এনট্রিমাইক্রোবায়াল হ্যান্ড রাব সলুয়েশন খাইয়ে দেন মনিরুজ্জামান বুলেট। সাথে সাথে অসুস্থ হয়ে পড়েন জাহাঙ্গীর। পেট ফুলে যায়। গুরুতর অবস্থা হয়ে বাসায় গিয়ে ছটফট করতে থাকলে দ্রুত মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। জেনারেল হাসপাল থেকে রাত ৯টায় দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আসে জাহাঙ্গীর।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রেখা বেগম বলেন, আমার স্বামী ঠান্ডা ও কাশি বেড়ে গেলে মনির ডাক্তারের দোকানে যান। মনির ডাক্তার কাসের সিরাপ না দিয়ে হ্যান্ডওয়াস খাইয়ে দেন। হ্যান্ডওয়াস খাওয়ার সাথে সাথে তার পেট ফুলে যায় বমি করে এবং গুরুতর অসুস্থ হয়ে যায়। দ্রুত আমি মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে না গেলে আজ আমার স্বামীকে পেতাম না।
তিনি আরো জানান, মনিরুজ্জামানই ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেছে আমার স্বামীকে।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরকে হেক্সাসল খাওয়ানোর কথা স্বীকার করে ভূয়া ডাক্তার মনিরুজ্জামান বুলেট বলেন, একমি কোম্পানীই মোনাস প্যাকেটে হেক্সাসল দিয়েছে যা আমি জানতাম না। একজন অষ্টম শ্রেণি পাস, যার ফার্মাসিস্টের সার্টিফিকেট নাই। সিভিল সার্জন থেকে এসে ভিজিট করে যান এবং টাকা নিয়ে যান কিছু বলেন না।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মঞ্জুরুল আলম জানান, ওষুধ প্রশাসন টাকা নিলো কি নিলো না আমার দেখার বিষয় না। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।