চারদিকে গাছগাছালি খাঁ খাঁ করছে পাতা শূন্যতায়। শীত শেষে সকালের আকাশে ভেসে উঠে রক্তিম সূর্য। এখন লাল আলোয় গাছের ডালপালায় সূর্য খেলা করে। শরীরকে ভেজানোর জন্য গাছের ডালপালা এক পশলা বৃষ্টির আশায় হা করে তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে। এ যেন বিধাতার অপার সৃষ্টি। আর এসব নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধের চত্বরে প্রকৃতিকে দিয়েছে এক অপরূপ সৌন্দর্য।
বসন্ত আসা মানেই পরিবর্তনের আভাস। বসন্ত শীতের সব জড়তাকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে গাছেরা আড়মোড়া ভেঙে, পুরোনো পাতা ঝরে গাছের ন্যাড়া মাথায় গজায় ঘন সবুজ কচি পাতা। কচি পাতার সান্নিধ্যে গাছে গাছে নতুন ফুলের কুঁড়ি। ফুল ফুটে নানা রঙের। চারপাশে পাখির কলতান, কোকিলের সুমধুর কুহু ডাক যেন নতুনের এক আগমনী বার্তা। তখন প্রকৃতি সাজে নতুন রূপে, যেমনটা সাজে নববধূরা। তাই তো প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য বসন্ত এক বিশেষ বার্তা বহন করে।
প্রকৃতির এই সৌন্দর্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে বহু প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ ছুটে আসে নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধে। এই ইট পাথরের শহরে থাকতে, থাকতে সবাই যখন ক্লান্ত ঠিক তখনই প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য দেখে সবাই কিছু সময়ের জন্য হলেও মুগ্ধ। প্রকৃতির খরখরে এই রূপ, সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো মনকে উতাল করে তোলা সময়কে বলা হয় বসন্ত।