# ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়
# হত্যার আগে গাঁজা সেবন করানো হয় ভিকটিমকে
# ঘাসক্ষেতে ফেলা রাখা হয় লাশ
সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে সোমবার (২০ মার্চ) অপহরণের তিনদিন পর পোতাজিয়া ইউনিয়নের কালাই বিলের ঘাস ক্ষেত থেকে মোঃ রিদুয়ান(১১) এর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। অপহরণ ও হত্যার সাথে জরিত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিহত রিদুয়ান উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের রতনকান্দি গ্রামের মো. মোমিরুল হকের ছেলে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলার রতনকান্দি উত্তরপাড়ার মো. আলাউদ্দিনের ছেলে ইমরান হোসেন সাগর আলী (১৯), জিগারবাড়ীয়া গ্রামের হালিমের ছেলে সাখায়াত হোসেন (১৬) ও রতনকান্দি উত্তরপাড়া গ্রামের জলিল ভক্তের ছেলে নাঈম ভক্ত (২৬)।
এজাহার ও থানা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকালে খেলার উদ্দেশ্যে রিদুয়ান বাড়ী থেকে বের হয় তার ২ ঘন্টা পর অহরণকারীরা নিহতের পিতার কাছে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
গত শনিবার দুপুরে আবারও নিহত রিদুয়ানের পিতার কাছে মুক্তিপণের টাকার জন্য ফোন দিলে ১০ হাজার টাকা মোবাইলে পাঠিয়ে দেওয়ার পর সেই নাম্বার বন্ধ করে দেয় । খোঁজাখুঁজির পর রিদুয়ানের পিতা জানতে পারে আসামিদের সঙ্গে ভ্যানে করে শাহজাদপুর পৌর বাজারের দিকে গেছে। তারপর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সোমবার সকালে ঘাস ক্ষেত থেকে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ
আটককৃত আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে শিশু রিদওয়ানকে অপহরণ করে হত্যার কথা স্বীকার করে পুলিশকে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেয়। পরিচিত হওয়ায় সহজেই তাকে শুক্রবার বিকালে পোতাজিয়া ইউনিয়নের যোদুর বিলে নিয়ে যায়। পরে শিশু রিদওয়ানকে গাঁজা সেবন করায়।
গাঁজা সেবনের পর শিশু রিদওয়ান অস্বাভাবিক হয়ে পড়লে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে একজন নিচে ফেলে দেয়, এরপর গামছা দিয়ে ২ জন গলায় গামছ পেচিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে দিয়ে আসে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. হাসিবুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরই তথ্য প্রযুক্তি ও সোর্সের সহযোগীতায় গত রবিবার সাখায়াত হোসেন ও নাঈম ভক্তকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার দিবাগত রাতে সাগর আলীকে ঢাকা থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা অপহরণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের সাথে নিয়ে কালাই বিল থেকে রিদুয়ানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে পাঠানো হবে। আসামিদের আদালতের পাঠানো হয়েছে।