দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত ও চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী যৌন নিপীড়নসহ হত্যা চেষ্টার প্রধান আসামি সালথার রায়মোহনকে ফরিদপুর ভাংগা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-০৮, ফরিদপুর ক্যাম্প।
সোমবার (২০ মার্চ) দিবাগত রাত সোয়া ৮ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল দেশব্যাপী চাঞ্চল্যকর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের যৌন নিপীড়নসহ বেআইনিভাবে জনবদ্ধ হয়ে হতে চেষ্টা মামলার উক্ত প্রধান আসামিকে আটক করেছেন বলে র্যাব-০৮ জানায়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ফরিদপুর জেলার সালথা থানা এলাকার গৌড়দিয়া গ্রামের ভিকটিম অর্পিতা পাল @ পূজা(১৭) কে উক্ত আসামী বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো। গত ১০ মার্চ ২৩ তারিখে ভিকটিম তার বাড়ির পাশের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করার সময় উক্ত আসামী একা পেয়ে তাকে হাত ধরে টানাহেঁচড়া করে এবং কুপ্রস্তাব দেয়। তখন ভিকটিম ভয় পেয়ে চিৎকার করলে তার পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে উক্ত আসামী সহ আরো চারজন ভিকটিমের বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রের সাহায্যে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আহত করে। উক্ত আসামীর অত্যাচার ও দৌরাত্বে এলাকা অতিষ্ট হয়ে ওঠে। আসামীকে গ্রেফতারের জন্য মানব বন্ধন সহ এলাকাবাসী জোড় দাবি তোলে। এই ঘটনা সারা দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনাটি সোসাল মিডিয়া, প্রেস ও টিভি মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। আসামীর গ্রেফতারের দাবিতে ফরিদপুরের সুশীল সমাজ সরব হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ সহ ধারা: ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০ মূলে মামলা করে যা দেশব্যাপী এবং এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। উক্ত ঘটনার পর থেকে আসামি এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনার পর থেকে র্যাব-৮, ফরিদপুর ক্যাম্প গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব গোয়েন্দা বিভাগের সার্বিক তত্বাবধানে উক্ত মামলার প্রধান আসামীকে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা যায়।