ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় নুসরাত জাহান ওরফে মীম (১১) নামে এক শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়ার ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ।সেইসাথে এ ঘটনায় গ্রেফতার দু’জনকে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল ১১টায় জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহম্মেদ ভূঞা।
সংবাদ সন্মেলনে এসপি জানান, গত ১৮ মার্চ ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর গ্রামে মাদ্রাসা পড়ুয়া তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান ওরফে মীম (১১)কে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ স্থানীয় নেতাই নদীতে ফেলে পালিয়ে যায় খুনিরা। এ ঘটনায় ধোবাউড়া থানায় মামলা দায়ের হলে সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদে ইউসুফ (২০)সহ দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে জানিয়ে এসপি আরও বলেন, ঘটনার দিন ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বাড়ির পাশের কলা বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে এক কিশোর (১৫) ও আসামি ইউসুফ (২০)। পরে ঘটনাটি প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয়ে তারা ওই শিক্ষার্থীকে গলাটিপে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এসপি।
আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শাহীনুল ইসলাম ফকির (শাহীন), কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ, ওসি (তদন্ত) ফারুক হোসেন প্রমূখ।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর নিতাই নদী থেকে ওই এলাকার খোকন মিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত জাহান ওরফে মীম(১১) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটি শনিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিল। পরিবারের লোকজন খুঁজতে গিয়ে রাত ৯টার দিকে বাড়ির পাশে নিতাই নদীতে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গত রোববার (১৯ মার্চ) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।