খানজাহান আলীর বসতভিটার এই ঢিবিটি প্রায় ১০ একর জমির উপর অবস্থিত। ২০০১ সালে এই বসতভিটায় প্রথমবার খনন পরিচালনা করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। সেই থেকে এই পর্যন্ত মোট ১৩ বার খনন করা হয়েছে ৬০০ বছর আগের উলুঘ খান জাহানের এই আবাস্থল। এর আগের খনন গুলোতে তৎকালীন আমলের ইট বিছানো রাস্তা সহ নানান স্থাপনা ও বসতির নিদর্শন পাওয়া যায়।
মাসব্যাপী এবারের খননে ইটের দেওয়াল, চুন-সুড়কির মেঝে, পানি নির্গমন নালা, সলিং, পাথওয়ে, পোড়ামাটির তৈজসপত্র, হাঁড়ি, ঘট, থালা, বাটি, পিরিচ, কলমের ভগ্নাংশ, তৈল প্রদীপ, অলংকৃত ইট, পোড়ামাটির গুটিকা, পোড়ামাটির বল, কাচের চুড়ি, গ্লেইজডওয়্যার, টালি, প্রদীপদানি, নল, সিঁড়ি, পায়ে চলার পথ, জালের গুটি, পোড়ামাটির পুতি, লাল, কালো ও ধূসর বর্ণের মৃৎপাত্র সহ বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তু পাওয়া গেছে।
প্রদর্শনীতে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাসনিম, ষাটগুম্বজ ইউপি চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনার সহকারী পরিচালক গোলাম ফেরদৌস, বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মোহাম্মদ যায়েদ, রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির কাস্টোডিয়ান মোঃ আলামিন, বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘরের সহঃ কাস্টোডিয়ান মোঃ আরিফুল ইসলাম, এমএম দত্তবাড়ির সহঃ কাস্টোডিয়ান মোঃ হাসানুজ্জামান, খুলনা বিভাগীয় জাদুঘরের ফিল্ড অফিসার আইরিন পারভীন প্রমুখ।