× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

প্রকাশিত খবরের ব্যাখ্যা দিলেন নোবিপ্রবির শিক্ষিকা তৃষা সাহা

অনলাইন ডেস্ক

২২ মার্চ ২০২৩, ০৮:০৩ এএম । আপডেটঃ ২২ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ পিএম

গত ৪ মার্চ সংবাদ সারাবেলার অনলাইনে প্রকাশিত “নোবিপ্রবির শিক্ষিকা তৃষা সাহার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা-অসদাচরণের অভিযোগ” শিরোনামে এক খবরের পরিপ্রেক্ষিতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তৃষা সাহা তার আইন পরামর্শক আর কে পাল (রাজেশ) এর মাধ্যমে লিখিত আকারে নিজের বক্তব্য দিয়েছেন। বক্তব্যটি মূল প্রতিবেদনের সঙ্গে নিচে তুলে ধরা হলো।

প্রকাশিত রিপোর্টের ২য় কলামে বলা হয়েছে, “অভিযোগে জানা গেছে, তৃষা সাহা ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হলেও কোনো শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত নেই। বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ২য় টার্মের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি হয়েও নেননি ফাইনাল ভাইভা পরীক্ষা। এছাড়া তিনি স্বেচ্ছাচারী মনোভাব নিয়ে একাডেমিক কমিটির পর পর চারটি সভায়ও উপস্থিত হননি। তাকে এ ব্যাপারে বলা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের সামনে এমআইএস বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগি অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল হকসহ শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন।”

এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৃষা সাহা জানান, “প্রকৃত সত্য হলো, বিভাগের এই সংশ্লিষ্ট ব্যাচের পরীক্ষার অনিয়ম সংক্রান্তে আমার বিগত ২৯/১১/২০২২ ইং ও ০৫/১২/২০২২ইং তারিখে ডীন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ বরাবরে দুইবার লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে ডীন মহোদয় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বিগত ৩১/০১/২০২৩ ইং তারিখে পুনরায় মাননীয় উপাচার্য মহোদয় বরাবরে লিখিতভবে বিষয়টি অবহিত করেন। কাজেই এ থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, আপনার পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট এর ২নং কলামে বর্ণিত বিষয়াদি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট আর বিশেষ অসৎ উদ্দেশ্যে প্রকাশিত।”

রিপোর্টের ৩য় কলামে বলা হয়েছে, “নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ভাইভা বোর্ড থেকে তৃষা সাহাকে অযোগ্য বলে বের করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন উপায়ের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ায় তার মধ্যে সেই অযোগ্যতা এখনো বিদ্যমান আছে। নাহলে একজন শিক্ষক কিভাবে বিভাগের সকল শিক্ষা কার্যক্রমে অনুপস্থিত থাকেন। কেননা তার ভেতরে শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা এখনো গড়ে উঠেনি। সে কিন্টার গার্ডেনের শিক্ষক হওয়ার মতো যোগ্য নয়।”

এর জবাবে তৃষা সাহা জানান, প্রকৃত সত্য হলো, বিগত ০৪ অক্টোবর ২০১৮ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৬নং কলামে উক্ত বিভাগে প্রভাষক পত্রে নিয়োগ এর যোগ্যতা হিসাবে উল্লেখিত ছিলো, 

এস.এস.সি প্রথম বিভাগ/জিপিএ-৪,

এইচ.এস.সি প্রথম বিভাগ/জিপিএ-৪,

স্নাতক (সম্মান) প্রথম শ্রেণী/জিপিএ-৩.৫০,

স্নাতকোত্তর প্রথম শ্রেণী/জিপিএ-৩.৫০,

যেখানে, আমার মক্কেলের একাডেমিক রেজাল্ট হলো,

এস.এস.সি প্রথম বিভাগ/জিপিএ-৫,

এইচ.এস.সি প্রথম বিভাগ/জিপিএ-৫,

স্নাতক (সম্মান) প্রথম শ্রেণী/জিপিএ-৩.৭৩,

স্নাতকোত্তর প্রথম শ্রেণী/জিপিএ-৩.৭৯,

এ থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, প্রকাশিত রিপোর্ট এর ৩নং কলামে “নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক” শিক্ষকদের বয়ানে উল্লেখিত “শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা গড়ে উঠেনি”, “কিন্ডারগার্টেন এর শিক্ষক হওয়ার মতো যোগ্য নয়” ইত্যাদি বয়ানগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ইচ্ছাকৃত আমার সম্মানহানীর অসৎ উদ্দেশ্যে প্রকাশিত।

প্রকাশিত রিপোর্টের ৪নং কলামে বলা হয়েছে, “নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, মিডিয়াম অব ইনস্টাকশন ইংলিশ  হলেও  তিনি ইংরেজি বলতে পারেন না। ক্লাসে কি পড়ান আমরা তা বুঝিনা। অন্যান্য ব্যাচের ভাইভা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন কোর্সসমূহের পরীক্ষক হিসেবে সেমিস্টার ফাইনালের মার্কস সমূহ জমা না দেওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে  ফলাফল প্রকাশ করতে পারছেন না  শিক্ষকবৃন্দ। এতে আমরা দুচিন্তার মধ্যে রয়েছি। দ্রুত আমাদের ফলাফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।”

এর জবাবে তৃষা সাহা তার পেশাগত পারফরমেন্সকে হেয় করা হয়েছে জানিয়ে বলেন, “এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয় নাই। এ থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, শুধুমাত্র আমার সম্মানহনীর উদ্দেশ্যে মেলাফাইড ইনটেনশন থেকে এই সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।”

রিপোর্টের ৫নং কলামে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল হক বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ নিষেধও শোনেন না তৃষা সাহা। স্বেচ্ছাচারীভাবে সকল নোটিশও উপেক্ষা করে আসছেন। ছুটি না নিয়ে দিনের পর দিন অনুপস্থিত রয়েছেন। তার খামখেয়ালীতে আটকে আছে শিক্ষার্থীদের ফলাফল। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে বিভাগের শিক্ষা-কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করে ও তার স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করা যাচ্ছে না। তাই বিষয়টি চাকুরী বিধিমালা পরিপন্থি হওয়ায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমার আগের চেয়ারম্যানের সময় থেকেই তৃষা সাহা এমন স্বেচ্ছাচারীতা করছেন। যা চিঠি আকারে উপাচার্য মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে।”

তৃষা সাহা জানান, “প্রকৃত সত্য হলো, উক্ত শিক্ষক জিয়াউল হকের নামে বিগত ১২/১২/২০২২ইং তারিখে দৈনিক সমকাল এবং ০৪/০৩/২০২৩ইং তারিখে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় বিভাগের চেয়ারম্যান হিসাবে নিজের স্বেচ্ছারিতা এবং আমাকে হেনস্থা করা নিয়ে দুটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। (প্রমাণস্বরূপ তিনি দৈনিক সমকাল এবং দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার রিপোর্ট দুইটি সংযুক্ত করেন)। যার কারণে উক্ত শিক্ষক ব্যক্তিগতভাবে আমার উপর তীব্র ক্ষোভ পোষণ করে যে এই বক্তব্য দিয়াছেন তাহা সন্দেহাতীতভাবে ধারণা করা যায়।” 

তৃষা সাহা অভিযোগ করেন যে, এই প্রতিবেদনে এই সকল ব্যাপারে বিন্দুমাত্র যাচাই-বাছাই ছাড়াই এ ধরনের একটি মনগড়া রিপোর্ট প্রকাশ করে আমার সুনাম ও সম্মানের যথেষ্ট হানি করিয়াছেন।

রিপোর্টের ৬নং কলামে উল্লেখ রয়েছে যে, “অভিযুক্ত তৃষা সাহাকে ফোন করলে প্রথমে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন বলে দুই ঘন্টা পর ফোন দিতে বলেন। দুই ঘন্টা পর বলেন, এ ব্যাপারে আমি কোন মন্তব্য করতে রাজি নই। এর কিছুক্ষণ পর ফোন করে জানান, অভিযোগের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে তার বিরুদ্ধে একটি মহল মিথ্যা ষড়যন্ত্র করছে এবং আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যা বলে দাবি করেন।”

এর জবাবে তৃষা সাহা জানান, “প্রকৃত সত্য হলো- পত্রিকার কোন সাংবাদিকের সাথে আমার কোনরুপ কথোপকথন বা মেসেজ আদান প্রদান হয় নাই। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি বানোয়াট, মিথ্যা গল্প ছাড়া আর কিছুই নয়।”

অনলাইন ডেস্কের বক্তব্য:

উল্লেখিত রিপোর্টে সংবাদ সারাবেলা ডেস্ক নিজস্ব কোনো বক্তব্য সংযোজন করেনি। প্রতিবেদক রিপোর্টটি সংগ্রহের সময় সহকারী অধ্যাপক তৃষা সাহার বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেছেন কিন্তু সেসময় বিস্তারিত কোনো বক্তব্য তিনি দেননি। পরবর্তীতে সংবাদ প্রকাশের পর তৃষা সাহা তার আইন পরামর্শকের মাধ্যমে লিখিত আকারে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা এখানে তুলে ধরা হলো।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.