মুজিববর্ষে "বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা" প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সমগ্র দেশের সকল ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ সেমিপাকা ঘর দেওয়ার কর্মসুচী গ্রহণ করেন। এই কর্মসুচির আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম এর ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে গাইবান্ধাসহ সারাদেশে শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২২ মার্চ বুধবার এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: শরীফুল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ও সুবিধাভোগীদের মধ্যে জমি ও ঘরের কবুলিয়ত, নামজারী ও অন্যান্য কাগজপত্র হস্তান্তর করেন গাইবান্ধা সদর-২ আসনের সংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিণি ।
এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ সারোয়ার কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুশান্ত কুমার মাহাতো, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টু।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আনিছুর রহমান।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সদর উপজেলা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ফারুক হোসেন, সহকারী কমিশনার ভূমি রেজাউল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জসিম উদ্দিন চৌধুরী, প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সভাপতি কে,এম রেজাউল হক, রামচন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেনসহ অনেকে। আলোচনার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন সদর উপজেলা জামে মসজিদ এর পেশ ইমাম তাজুল ইসলাম।
শেষে গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১শ ৩ টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের স্বামী ও স্ত্রীকে জমি ও ঘরের কবুলিয়ত, নামজারী, ঘরের চাবি ও অন্যান্য কাগজ হস্তান্তর করা হয়।
"ভুমিহীন ও গৃহহীন স্বত্তরউর্ধ্ব বয়সী শাহজামাল ও তার অন্ধ স্ত্রী পত্রিকার প্রতিবেদককে বলেন- হামরা মৌজা মালিবাড়ীতে বেটির বাসায় থাকতাম। হামাদের কোনো ভিটেমাটি নাই। এখন প্রধানমন্ত্রীর দেয়া পাকা ঘর পেয়ে হামরা এখন খুশী। ঘর পেয়ে খুব ভালা লাগছে। হামরা এ জন্য প্রধানমন্ত্রী ও উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছোম।