কুমিল্লার হোমনায় বাণিজ্যিকভাবে তিতির পাখি পালন করা হচ্ছে হোমনা উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের চুনারচর গ্রামের একটি খামারে। খামারে তিতির পাখিকে কোর্ট পরা পেঙ্গুইনের মতো ঘুরতে দেখা যায়। তিতিরের ডাকে মুখর চারপাশ। উপজেলার মধ্যে এটি দ্বিতীয় খামার। আত্মপ্রত্যয় ও পরিশ্রমের মাধ্যমে সেই একজোড়া তিতি পাখি এখন হয়ে উঠেছে দুই'শ তিতি পাখির একটি খামার। আর এক সময়ের বেকার যুবক ইকবাল হোসেন হয়ে উঠেছেন একজন সফল খামারী।
তিতির পাখি ও ডিম কিনতে ও দেখতে ওই খামারে মানুষের আনাগোনা দেখা যায়। তরুণ উদ্যোক্তা মো. ইকবাল হোসেন সে উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের চুনারচর গ্রামের মো. কামাল হোসেনের চার ছেলের মধ্যে তিনি চতুর্থ ইকবাল হোসেন। সৌদি আরব ৪ বছর পারি জমিয়ে দেশে ফিরে ইউটিউব থেকে দেখে তার নিজ গ্রাম চুনারচর কবরস্থানের পাশে স্ত্রী সহযোগিতায় খামার প্রতিষ্ঠা করেন। তিতির পালন করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন বলে জানান।
উদ্যোক্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ২০২১ সালে একজোড়া পাখি এনে আর কিছু ডিম ক্রয় করে তা নিজ খামারে ফুটিয়ে বাচ্চার লালন পালন শুরু করেন। অনেকে তিতির খাওয়ার জন্য কেনেন। মাংসের স্বাদ ভালো ও শৌখিন মানুষজন পালন করে থাকেন। প্রতি জোড়া দুই থেকে তিন হাজার টাকা। তার খামারে বর্তমানে দুইশত'র বেশি তিতির পাখি রয়েছে বর্তমানে ডিমও দিচ্ছে।
তিনি বলেন, তিতি আসলে পাখি নয় এটি চীনা মুরগী তিথির। তাই বনমোরগের মতো তিতি মুরগীও উড়তে পারে। তিতির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব বেশি বিধায় তেমন রোগ বালাই হয় না। ডিম থেকে বাচ্চা হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে তিতি ডিম দিতে শুরু করে। ৬ মাসে একটি পুরুষ তিতির ওজন হয় দুই কেজি এবং স্ত্রী তিতির ওজন দেড় কেজি হয়। অন্যদিকে খামারে ব্রাহামা মুরগির বাচ্চা বিক্রি করছেন প্রতি পিস ৫০০ টাকা পাশাপাশি ডিম বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি আরোও বলেন, আমাদের দেশের অনুকূল আবহাওয়া ও পরিবেশে তিতি পাখি পালন অন্যান্য দেশের তুলনায় সহজ।তিতির খাবারের জন্য কোনো সমস্যা হয় না। গম ধান দানাদার থেকে কলমির শাক বাঁধাকপি বেশি পছন্দ করে এবং মাংস উৎপাদনের জন্য দানাদার খাবার দিতে হয়। এদিকে উপজেলা ভেটেনারি ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হেলাল উদ্দিনের পরামর্শ নিয়ে তিনি এই খামার পরিচর্যা করছেন।