গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আমি পরাজয় মেনে নিয়েছি। কেউ সহযোগিতা চাইলে বিবেচনা করা হবে।
ভোটের পরদিন শুক্রবার সকালে টঙ্গীতে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আজমত উল্লাহ খান বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমি রায় মেনে নিয়েছি।
তবে অভিযোগ করে তিনি বলেন, কিছু ত্রুটি ছিল ইভিএমে। অনেকে ভোট দিতে পারে নাই। পরাজয়ের কারণ পর্যালোচনা করা হবে। পরাজয়ের কি কি কারণ ছিল তা জানানো হবে।
বিজয়ী মেয়র জায়েদা খাতুন আপনার সহযোগিতা চাইবেন বলে জানিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে আজমত উল্লাহ বলেন, কেউ যদি সহযোগিতা চায় তা অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।
এদিকে মেয়র ঘোষণার পর জেলা পরিষদ ভবনের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আমার মা ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, ব্যক্তির বিরুদ্ধে জিতেছেন। আজমত উল্লা খান আমার বড় ভাই। তিনিসহ যারা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, মা বলেছেন সবাইকে নিয়ে কাজ করবেন।”
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ৪৮০ কেন্দ্রের ফল ঘোষণার শেষে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
ফল ঘোষণার পরপরই উল্লাস আর বিজয় মিছিল বের করে গাজীপুরের লোকজন। রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের বাইরে ও বিভিন্ন এলাকায় বিজয় মিছিল বের করতে দেখা যায় জায়েদার সমর্থকদের।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট পেয়েছেন। ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে জায়েদা খাতুন জয় লাভ করেন। সিটি করপোরেশন হওয়ার পর জায়েদাই হলেন মহানগরীর তৃতীয় মেয়র।