আশুলিয়ার নবীনগরে রাতের আঁধার নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় এক অন্য রকম জীবন। এ যেন পথচারীদের জীবনের এক ভয়ংকার দৃশ্য। রাত যত গভীর হয় ব্যস্ত নবীনগরের কোলাহল থেকে নিরবতা বাড়তে থাকে। সভ্য মানুষের শহরকে গ্রাস করে নেয় নগ্নতা। নবীনগর সিনেমা হল থেকে শুরু করে ফুটওভার ব্রিজের নিচে পযন্ত অবস্থান করে ২০ থেকে ২৫ জনের মতো ভাসমান পতিতা।
প্রায় প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুযোগ পেলেই জাতীয় স্মৃতিসৌধে বেড়াতে আসেন ভ্রমণ পিয়াসী পর্যটকরা। শুধু ঘুরতে নয় এখানে কর্মের সন্ধানে ছুটে আসেন হাজারও মানুষ।
কিন্তু ভাসমান পতিতাবৃত্তি ও অসামাজিক কার্যকলাপের কারণে এই অঞ্চলের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। নবীনগর ঢুকলেই সিনেমা হলের সামনের সড়ক দিয়ে ও তার আশপাশে এসব ভাসমান পতিতাদের কারণে সাধারণ মানুষ কিংবা পর্যটকদের পরতে হয় নানা ধরণের বিড়ম্বনায়। তাদের দৃষ্টিকটু চলাফেরা দেখলে মনে হবে যেনো পুরো এলাকাটি পতিতালয়। যেনো সবাই তাদের কাষ্টমার!
শুধু রাতে নয়, দিনের আলোতেও থেমে নেই তাদের অসামাজিক কার্যকলাপ। পতিতাদের দালালরা ফোনকলের মাধ্যমেও কাষ্টমার জোগাড় করে থাকে। আবার অনেক মেয়েই রাস্তাঘাটে ঘুরাফেরা করে বিভিন্ন ইশারা ইংগিতের মাধ্যমে পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করে থাকে। সাড়া পেলে তাদেরকে পূর্বনির্ধারিত হোটেলে নিয়ে যায় তারা। এসব পতিতাদের কাছে গিয়ে মোবাইল টাকা সহ মুল্যবান অনেক কিছু খোয়ানোর অভিযোগ আছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের কারণে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি। অনেক ভালো মানুষকে তারা বাজে ইশারা দেয় তারা মানসম্মানের ভয়ে কিছু না কিনে দোকান ত্যাগ করে। মাঝে মধ্যে আইন শূংখলা বাহিনি অভিযান পরিচালনা করলে তারা হয়তো ভয়ে আর আসতো না।
টিপু নামের একজন পথচারী বলেন, অনেক সময় আমরা রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার সময়, এই ভাসমান পতিতারা আমাদের সাথে খারাপ আচরণও করে। সাথে পরিবারের লোকজন থাকলে একটা বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। আমাদের ছেলেরা এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যায়। আমাদের দাবি প্রশাসন অতি দ্রুত যেন এই স্থান থেকে ভাসমান পতিতাদের সরিয়ে দেয়।
সরেজমিনে নবীনগর এলাকায় গেলে দেখা যায়, সিনেমা হলের সামনে দেখা মিলে কিছু নারী দালালদের। তাদের দেখে ওই স্থানে গেলেই এগিয়ে আসেন এক ৩৫-৪০ বছরের নারী। পিছন দিকে দাঁড়িয়ে থেকে উদ্দেশ্যে করে বাজে ইঙ্গিত দিতে থাকেন। সামনে এগোতেই ফুটওভার ব্রিজের নিচে আরেকদল দাঁড়িয়ে আছেন।রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় তারা হাত ধরে টানাটানি পযন্ত করেন।
জানা গেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এসব ভাসমান পতিতাদের ব্যাপারে কোন প্রদক্ষেপ লক্ষ করা যায় না।