পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, ইলিশ মাছকে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতে হবে এবং মাছকে বড় হওয়ার সময় দিতে হবে। তাহলে আমরা মাছ খেতে পারবো।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজিত ১৫তম জাতীয় ইলিশ উৎসবে সমাপনী দিনে গোল টেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কৃষকদের সহায়তা করা আওয়ামী লীগের অন্যতম নীতি। যেখানে মুনাফা থাকবে সেখানে মানুষ যাবে। এটা ভেবে দেখা দরকার জালগুলো জেলেদের কাছ থেকে আটকে রাখলে হয়তো একটা সুফল পাওয়া যাবে।ইলিশের দাম ওভাবে বাড়েনি। আসলে সরবরাহ ও চাহিদার সাথে মিলছে না। আর এজন্যে উৎপাদন বাড়াতে হবে। আসুন ইলিশ মাছকে সংরক্ষণ করে দেশকে আরো উন্নত করি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিজের জেলায় আসাই হচ্ছে আনন্দের বিষয়। সংস্কৃতির টানে আজকে আসা। সংস্কৃতি মানে জীবানাচার। সংস্কৃতি ব্যক্তি তিনি আদর্শবান ব্যক্তি। অপসংস্কৃতিবানের আচার আচরণ রূঢ়। সুন্দর অনুভূতিগুলো সংস্কৃতির অংশ। সংস্কৃতিবান ব্যক্তির জীবনটা হারিয়ে যাক সেটা চায় না। সত্যিকার সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিরা মিথাচার করতে পারে না।
ইলিশ উৎসবের আহবায়ক কাজী শাহাদাতের সভাপতিত্বে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য দেন-দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার।
মহাসচিব হারুন আল রশিদের সঞ্চালনায় আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত, জেলা কালচারাল অফিসার দিতি সাহা, ব্যবসায়ী মো. ফারুক ও মৎসজীবী নেতা মানিক দেওয়ান প্রমূখ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন-উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাড. বিনয় ভূষণ মজুমদার ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মির্জা জাকির।
অনুষ্ঠানে ইলিশ উৎসব আয়োজকদের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীসহ অন্যান্য অতিথিদেরকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। সবশেষে দেশ-বিদেশী শিল্পীদের নিয়ে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।