ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলা থেকে ২৯ বছর আগের গোপালগঞ্জের চঞ্চল্যকর গাঁজা সেবনে বাধা দেওয়া হত্যা মামলার যাবত জীবন সাজা প্রাপ্ত পলাতক আসামি র্যাব হাতে গ্রেফতার হয়েছে।
গোপালগঞ্জ জেলার সদর এলাকায় চাঞ্চল্যকর চায়ের দোকানদার হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. মিজান ওরফে শাহিনকে (৪৬) দীর্ঘ ২৯ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে র্যাব। আসামি মো. মিজান ওরফে শাহিন গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন কাঠি গ্রামের বাসিন্দা।র্যাব জানায়, গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন তেলিগতি এলাকারসেকেন্দার শেখ (৩০) কাঠি বাজারে চায়ের দোকান দিয়ে জিবিকা নির্বাহ করতো। ১৯৯৪ সালের ১৪ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ৮টার দিকে সেকান্দার বাড়ি যাওয়ার সময় পথিমধ্যে জেলার কাঠি পশ্চিম পাড়া এলাকার কাঁচা রাস্তার উপর পৌঁছালে সে সেখানে বসে ৭ থেকে ৮জন লোককে গাঁজা সেবন করতে দেখতে পায়। সেকান্দার তাদেরকে গাঁজা সেবনে মৌখিকভাবে বাধা দিলে মো. মিজান ওরফে শাহিন ও তার অন্যান্য সহযোগী মিলে সেকান্দারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের কাছে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে সেকান্দারের বুকে, পেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। হত্যাকান্ডের পর মৃত সেকেন্দার শেখ এর ভাই এনায়েত শেখ বাদি হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা পরবর্তী হত্যাকান্ডে জড়িত সবাই আত্মগোপনে চলে যায়। র্যাব-১০, ফরিদপুর সিপিসি-৩ কোম্পানী অধিনায়ক লে. কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেপ্তারকৃত আসামি হত্যাকাণ্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততার সত্যতা স্বীকার করেছে। সে মামলা রুজুর পর থেকে কৌশলে মালয়েশিয়া পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে দেশে ফিরে আসে এবং গ্রেপ্তারের পূর্বে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তার নাম ও পরিচয় গোপন করে আত্মগোপনে ছিল বলে জানা যায়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তীতে কোর্টের আদেশের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।