# ৫ হাজার জেলে পরিবার বেকার
# জেলেদের অবাধ বিচরণ চাই
নদীবহুল বাংলাদেশের অসংখ্য নদী দূষণের শিকার হয়ে বিপন্ন-বিপর্যস্ত; মানুষের অপরিণামদর্শিতার কারণে বহু নদী ধুঁকে ধুঁকে মরছে। বিশ্বের আর কোথাও এদেশের মতো এমন নদীহত্যার নজির নেই।
কক্সবাজারের মহেশখালীতে বিশ্ব নদী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে কোহেলিয়া নদীর পাড়ে মানববন্ধন ও জেলেদের অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কক্সবাজারের মহেশখালীতে কোহেলিয়া নদীর পাড়ে মানববন্ধন ও জেলেদের অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল তিনটার সময় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মহেশখালী আঞ্চলিক শাখা, মহেশখালী সুরক্ষা কমিটি, কোহেলিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, কোহেলিয়া নদী রক্ষা কমিটি এবং পরিবেশ প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা পরিষদ মহেশখালীর যৌথ আয়োজনে কোহেলিয়া নদীর পাড়ে কোহেলিয়া নদীরক্ষা ও পূনরুদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন ও জেলেদের অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বাপা মহেশখালী আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোছাদ্দেক ফারুকীর সভাপতিত্বে, মানববন্ধন ও অবস্থা কর্মসূচিতে সঞ্চালনা করেন বাপা মহেশখালী আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক, কোহেলিয়া নদী রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও মহেশখালী সুরক্ষা কমিটির যুগ্ন সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাপা মহেশখালী শাখার সদস্য ও মহেশখালী সুরক্ষা কমিটির নির্বাহী সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, বাপা মহেশখালীর সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন নূরি পিয়ারু , লবন ব্যবসায়ী ফরিদুল আলম, মৎস্য ব্যবসায়ী রিপন, কোহেলিয়া মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ও মহেশখালী সুরক্ষা কমিটির সদস্য নুরুল কাদের, সুরক্ষা কমিটির সদস্য মো. রিদুয়ান, জেলেদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আবু তৈয়ব, ছপুর আলম , লিয়াকত আলী প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, মাতারবাড়ীতে নির্মাণাধীন কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের পলি মাটি নদীর পানির সাথে মিশে গিয়ে বর্তমানে নদীর পানি ঘোলাটে এবং দূষিত হওয়ায় নদীর দু'পাশে প্রায় অর্ধশত চিংড়ি মাছের প্রজেক্টে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে মাছ মারা যাচ্ছে এ কারণে চিংড়ি প্রজেক্টের ইজারাদারদের প্রতি বর্ষা মৌসুমে শত কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয় । চিংড়ি খাত থেকে সরকার প্রতি বছর হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের চাকা সচল রাখেন। এমতাবস্থায় যদি কোহেলিয়া নদীটি হারিয়ে যায় তাহলে এক দিকে যেমন এ নদীর উপর নির্ভরশীল কয়েক হাজার জেলে পরিবার সহ অন্যান্য পেশার লোকজন যেমন বিভিন্ন ইঞ্জিন চালিত নৌযানে থাকা শ্রমিক , লবন শ্রমিক ও চাষীরা বেকারত্ব হবে, তেমনি ভাবে নদীর উভয় পাশে থাকা শতাধিক চিংড়ি প্রজেক্ট গুলোতে মাছের দূর্দিন দেখা দিবে, এতে সরকারও বিশাল অংকের রাজস্ব হারাবার সম্ভাবনাও রয়েছে। একারনেই এই গুরুত্বপূর্ণ কোহেলিয়া নদীটি রক্ষা করা প্রয়োজন।
এ নদীর উপর নির্ভরশীল কয়েক হাজার পরিবার তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু এ নদী দিন দিন ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়ায় জেলেদের জালে আগের মত তেমন আর ধরা পড়ছেনা সামুদ্রিক মাছ । ফলে বেকারত্ব ও অনাহারে অর্ধাহারে দিনযাপন করছে ৫ হাজারো অধিক জেলে পরিবার।
এক সময় কোহেলিয়া নদীটি এতই গভীর ছিল যে, সেখানে ছোট বড় জাহাজ চলাচল করত। শুধু তাই নয় এ নদীর উপর নির্ভরশীল বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের একমাত্র আয়ের উৎস মাছ , কাঁকড়া ও লবন নিয়ে। কোহেলিয়া নদী হারিয়ে যাওয়া মানে মহেশখালীর সিংহভাগ মানুষের জীবন-জীবিকা ধ্বংস হয়ে যাওয়া। জেলেদের জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করতে হবে।
অবিলম্বে কোহেলিয়া নদী পুনরুদ্ধার করে আগের মত ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান বক্তাগণ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । সম্পাদক: 01703-137775 । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh