রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন পশ্চিম বালিয়া শান্তির মোড় এলাকার শিশু সামিরা জান্নাতুল ফেরদৌসের (১১) মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটন ও বিচার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মানবাধিকার বিষয়ক অঙ্গ সংগঠন।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজশাহী কোর্ট চত্ত্বরে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
রাজশাহী দামকুড়া এলাকার মুরালীপুর প্রাইমারী স্কুলের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী সামিরা জান্নাতুল ফেরদৌসকে অপহরণ করে প্রায় ২০০ সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে ৩ জন মিলে ধর্ষণ করার পর হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতেই এই মানবন্ধনের আয়োজন করে মৃত স্কুলছাত্রী সামিরার বাবা রিক্সাচালক শামিম।
মানববন্ধনে মৃত স্কুলছাত্রী সামিরার বাবা শামিম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, গত ৯ জুলাই দুপুরে আমার বড় মেয়ে (১১), ছোট মেয়ে (৮) ও ছেলেকে বাড়িতে রেখে শ্বশুরবাড়ি যাই। বিকেলে বাড়িতে এসে বড় মেয়েকে ডাকাডাকি করে খুঁজতে থাকি। একপর্যায়ে বসতঘরের তীরের সঙ্গে বাঁশে ঝুলানো অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করি। এসময় তার পা দুটি মেঝেতে লেগে ছিল। পরে কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ঘটনার দিন একই এলাকার সানাউল্লার ছেলে শামীম আমার মোবাইলে ফোন করে অবস্থান জানতে চায়। তখন সন্দেহ হয় তারা আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। সেদিন বাড়িতে ফিরে এসে অন্যান্য দিনের মত স্বাভাবিক আচরণ দেখতে পাইনি তার। পরে গত ২৩ জুলাই শামিম, রকি, টিয়া আলম গোলাব ও বাবুকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। একজন আসামি র্যাব গ্রেফতার করে ও আরেক আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে আমাদের ভয়ভীতি ও মামলা তুলে নেয়ার হুমকি প্রদান করছে। এছাড়া সাক্ষীদের নানান ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
রাজশাহী পিবিআই জানায়, মামলাটির তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে এবং অভিযুক্ত আসামীরাও জামিনে আছে, তবে এর সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা আমরা তদন্ত করে দেখছি।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বেও স্কুলছাত্রী সামিরাকে নিয়ে মাননববন্ধন করে এলাকাবাসী এবং প্রেস কনফারেন্স এর আয়োজন করে সকলকে বিষয়টি অবগত করেছিলেন মৃত স্কুলছাত্রীর বাবা রিক্সাচালক শামিম।