হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আত্মগোপনে থাকা এক পলাতক আসামিকে ২৭ বছর পর গ্রেফতার করেছে কিশোরগঞ্জ ডিবি পুলিশ।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর থানার বিন্নারবন্দ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাকৃত আসামীর নাম ওয়াহিদুল্লাহ্। ওয়াহিদুল্লাহ্ পেশায় একজন বাদাম বিক্রেতা।
জানা যায়, আসামি ওয়াহিদুল্লাহ্ নিজের নাম, পিতার নাম, ঠিকানা ও পেশা পরিবর্তন করে আত্মগোপনের মাধ্যমে নিজ এলাকা ছেড়ে ভিন্ন জায়াগায় নাগরিকত্ব ও ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েও পুলিশের হাতে ধরা পড়েন।
১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে মৌটুপি ইউনিয়নের রসুলপুরে ডোবায় অজ্ঞাতনামা এক নারীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। বিষয়টি তখন এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। ঘটনার প্রেক্ষিতে ভৈরব থানার মামলা নং ১০(০৯)১৯৯৬ রুজু হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক হয়ে যান ওয়াহিদুল্লাহ্। ওয়াহিদুল্লাহ্র কথিত বন্ধু নিজামের সাথে হত্যা শিকার হওয়া অজ্ঞাতনামা এক নারীকে তার বাড়িতে এনেছিলেন বলে স্থানীয় লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। পরবর্তী এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পলাতক ওয়াহিদুল্লাহ্ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জসহ দেশের নানা এলাকায় পালিয়ে বেড়িয়েছেন।
এ ঘটনায় ভৈরব থানায় রুজুকৃত মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিলের পর বিচারের রায় হয় ০৯-১০-২০২২ খ্রি: বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পলাতক ওয়াহিদুল্লাহকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০০০ টাকা অর্থদণ্ড, যা অনাদায়ে ১বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, পিপিএম (বার) এর নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই নূর মোহাম্মদের নেতৃত্বে গঠিত একটি বিশেষ টিম পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামী ওয়াহিদুল্লাহকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করেন। প্রাথমিকভাবে ওয়াহিদুল্লাহ্ তার প্রকৃত নাম অস্বীকার করলেও জিজ্ঞাসাবাদে ছদ্মবেশের কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেফতারকৃত সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে ওয়ারেন্টসহ সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর আদালতে সোপর্দ করা হয়।