আগামীকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ঢাকাগামী গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকাগামী কোনো বাস চলাচল করেনি।
এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঢাকাগামী যাত্রীরা। এদিকে ভালুকার মাস্টারবাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বসেছে পুলিশের চেক পোস্ট।
ময়মনসিংহ নগরী থেকে ঢাকাগামী বাস টার্মিনাল মাসকান্দায় গিয়ে দেখা যায়, সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। এ সময় এনা বাসের টিকেট কাউন্টার বন্ধ থাকতে দেখা যায়। এতে অনেক যাত্রী বাসায় ফিরে গেলেও কেউ কেউ আবার বিকল্প উপায়ে ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা বাস টার্মিনাল ও পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকার টার্মিনালের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, ঢাকায় সমাবেশকে কেন্দ্র করে নাশকতার শঙ্কা থেকে বাস মালিক ও চালকরা শুক্রবার থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ডের ম্যানেজার খোরশেদ আলম বলেন, মালিক সমিতির নির্দেশে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও রাস্তায় বাস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। শনিবারও বন্ধ থাকতে পারে মনে হচ্ছে।
ময়মনসিংহ জিলা মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিএনপি’র সমাবেশকে কেন্দ্র করে বাসে অগ্নিসংযোগসহ বাস ভাঙচুর হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে বাস চালানো বন্ধ রেখেছেন চালক-মালিকরা। আমি সকালে দু’টি টার্মিনাল ঘুরে বাস চালাতে অনুরোধ করেছি। কিন্তু চালক-মালিকরা বাস চালাচ্ছেন না। তবে বিচ্ছিন্নভাবে দুই একটি বাস চলছে।
তিনি আরও বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোণা ও জামালপুর থেকে প্রতিদিন অন্তত সাড়ে ৫শ’ বাস চলাচল করে। তার সবই বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ বলেন, ‘সরকার মুখে এক কথা বলে অথচ কাজ করে তার বিপরীত। বাস বন্ধ করে দেওয়াটা এ ফ্যাসিস্ট সরকারের চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। গত রাতেও পুলিশ আমাদের অনেক নেতার বাড়ির সামনে পাহারা দিয়েছে। যেন কেউ বাড়ি থেকে বের হতে না পারে সেজন্য।’