বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচিকে বানচাল করতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছেন ভৈরব উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগসহ সকল আঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম সেন্টুর নেতৃত্বে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্জয় মোড় অবস্থান নিয়েছেন সকল নেতৃবৃন্দ।
এদিকে সকাল ৭টায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী শাহীন ও উপজেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সুজন এর নেতৃত্বে সড়কে অবরোধ করতে ককটেল নিক্ষেপ করেন এতে বাঁধা দেন পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ ও তার কর্মী সমর্থকরা। এ সময় ধাওয়া পালটা ধাওয়ায় সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন।
এ দিকে খবর পেয়ে আতিক আহমেদ সৌরভের আহতের খবরে তার কর্মী সমর্থকরা ভৈরব কমলপুর বাসস্ট্যান্ড বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় ও যুবদল সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন সুজনের বাড়িঘর ভাঙচুর করেন।
পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ যেখানে অন্যায় সেখানে প্রতিবাদ। একদল দুষ্কৃতকারী মহাসড়কে ককটেল নিক্ষেপ করে অবরোধ করতে গেলে আমরা বাধা দেয়। এতেই ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে ভৈরব থানা পুলিশ। সব জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মাকছুদুল আলম।
অবরোধ ঠেকাতে পৌর মেয়র ইফতেখার হোসেন বেণু আওয়ামী লীগ সভাপতি এসএম বাকী বিল্লাহ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল হেকিম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন জামাল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক অরুণ আল আজাদ, মো.ইকবাল হোসেন, পৌর যুবলীসহ সভাপতি ইমরান হোসেন ইমন, সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সৈকত, পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি শামীম আহমেদ খোকন, সাধারণ সম্পাদক রাকিব রায়হানসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগসহ সাত ইউনিয়ন ও উপজেলার অসংখ্য নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।