যে যেভাবে পারছে লুট করে নিচ্ছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রেলের জিনিসপত্র৷ অথচ এই ট্রেনেই কয়েকদিন আগে ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মারা যায় অন্তত ১৭ জন মানুষ৷ আহত হয় শতাধিক মানুষ। কিন্তু কোন কিছুই মনে ধরছেনা চোরদের।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনার আটদিন দিন পরেও ঘটনাস্থলে পড়ে আছে লণ্ডভণ্ড দুটি বগি। ক্ষতিগ্রস্ত দুই বগির যন্ত্রাংশ মাদকসেবীরা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। মানুষের আড়ালে, খেলার ছলে ও কৌতূহল বশে বগি দুটির ভাঙা অংশের ভেতর উঠে প্রতিদিন চুরি করছে লোহার মালামাল।
স্থানীয়রা জানান, রাষ্ট্রীয় সম্পদ রেলের রক্ষণাবেক্ষণ ও ঘটনাস্থলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিনই মাদকসেবী ও অজ্ঞাত লোকজন বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নিয়ে যাচ্ছে। দুর্ঘটনার স্থানে মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ না করায় অসাবধানবশত দুর্ঘটনার শিকার হওয়ারও ঝুঁকিও রয়েছে।
উপজেলা মাদকবিরোধী সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘মাদসেবীরা মাদকের টাকার অভাবে তারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত করতে দ্বিধা করছে না। দুর্ঘটনা এলাকায় গিয়ে যন্ত্রাংশ চুরি হওয়ার বিষয়টি শুনে ব্যথিত হয়েছি। প্রতিদিন তারা ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনের মালামাল চুরি করে ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রি করছে। মাদকের টাকা জোগাতেই তারা ট্রেনের মালামাল চুরি করছে।’
ভৈরব রেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলীম হোসেন সিকদার জানান, ‘যন্ত্রাংশ ও রেলের মালামাল চুরি ঠেকানো আমার দায়িত্ব না। এটা রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) দায়িত্ব।’
ভৈরব রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ইন্সপেক্টর এস এম তাজবীর বলেন, ‘রেল কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল আমাদের বুঝিয়ে দেয়নি। তার পরও আমাদের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মালামালের খেয়াল রাখছেন।’