বগুড়ার শেরপুরের সাধুবাড়ি এলাকায় বন্ধুর স্ত্রীর গোসলের ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ। পরে স্থানীয় মাতব্বররা সন্ত্রাসী কায়দায় গৃহবধুর পরিবারের লোকজনদের মারধর করে ধর্ষক নুরনবী ইসলাম (৩২)কে ছিনিয়ে করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ৩০ অক্টোবর সোমবার রাতে শেরপুর থানায় গৃহবধুর পিতা বাদী হয়ে ধর্ষকসহ ৬ জন ও অজ্ঞাত ১৫/১৬ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ব্যারিষ্টারপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল হাইয়ের ছেলে আমিনুল ইসলামের সাথে গত ৫ বছর আগে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের সাধুবাড়ি গ্রামের গাজিউর রহমানের মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামীর বন্ধু চান্দাইকোনা ব্যারিষ্টারপাড়া গ্রামের আখতারুজ্জামানের ছেলে নুরনবী ইসলাম ওই বাড়িতে অবাধে যাতায়াত করার পর থেকে ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সুযোগ বুঝে ওই গৃহবধূর গোসলের ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে। গৃহবধূর স্বামী আমিনুল ইসলাম অন্য জেলায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে যাওয়ায় সে গত ২৪ অক্টোবর তার বাবার বাড়ি শেরপুরে আসে। গৃহবধূকে তার স্বামীর বাড়িতে না পেয়ে নুরনবী ইসলাম ৩০ অক্টোবর সোমবার বেলা ১১টায় শেরপুরে তার বাবার বাড়িতে আসে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গৃহবধূকে ভয় দেখিয়ে আবারো ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ধর্ষক নুরনবীকে আটক করে। পরে গৃহবধুর পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে বাড়িতে এসে ধর্ষককে থানায় সোপর্দ করার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় মাতব্বর লিটন, শাহিন, শাহজামাল, সামাদ (মেম্বার), মনির, ওই বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির লোকজনকে মারধর করে ধর্ষক নুরনবীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গৃহবধুর পিতা গাজিউর রহমান বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই শেরপুর থানায় ধর্ষকসহ ৬ জন ও অজ্ঞাত ১৫/১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বাবু কুমার সাহা বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।