সরকারের পদত্যাগ কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা নেতা-কর্মীদের মুক্তি রাজধানীতে মহাসমাবেশে হামলা সাংবাদিক ও নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে জামায়াত- বিএনপি।
মঙ্গলবার এবং ১ ও ২ নভেম্বর সারাদেশে সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে দলগুলো।
বাগেরহাটে প্রথম দিন মঙ্গলবারে ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হয়েছে অবরোধ। তবে অবরোধে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি মোংলা বন্দর সহ পুরো জেলায়। বিএনপি'র পক্ষ থেকে কোন নেতা কর্মীকে কর্মসূচি পালনে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় নি। তবে বিভিন্ন থানা থেকে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীকে আটকের খবর পাওয়া গেছে। জেলা জামায়াত নেতা কর্মীবৃন্দ বাগেরহাট জেলা সদরের ব্রাক অফিসের সামনে এবং কাটাখালি মোড় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বলে জানা গেছে। খুলনা বাগেরহাট মহাসড়কের খান জাহান আলী মাজার এলাকায় টায়ারে আগুন দিয়ে পিকেটিং করার ঘটনা ঘটেছে।
জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান করেছে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীবৃন্দ। এ সময় তারা অবরোধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও শান্তি সমাবেশ করেছে। শত শত মোটরসাইকেলের শোভাযাত্রা নিয়ে জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীবৃন্দ।
জেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া না গেলেও গত ২৪ ঘন্টায় বিভিন্ন থানায় বিএনপি-জামায়াতের ২৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্বাভাবিক রয়েছে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মংলা বন্দরে পণ্য বোঝাই ও খালাস কাজ। মোংলা ইপিজেড ও শিল্পাঞ্চলে উৎপাদন চলছে স্বাভবিক গতিতে। দূরপাল্লার কোন পরিবহন আসা যাওয়া না করলেও জেলা ও উপজেলা শহরগুলেতে রিকশা, ভ্যান ও অটোরিকশা চলছে স্বাভাবিক ভাবে। খোলা রয়েছে ব্যাংক-বীমা, অফিস-আদালত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমান জানান, যেকোনো ধরনের সহিংসতা ও নাশকতা এড়াতে জেলার প্রধান প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যাপক সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় নাশকতার অভিযোগসহ বিভিন্ন মামলায় ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।