× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

বদরগঞ্জে গুচ্ছগ্রামের ঘর বিক্রির অভিযোগ

বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি

০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১৪:২৮ পিএম

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার সরকারি গুচ্ছগ্রামের ঘর বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। গোপালপুর ইউনিয়নের আইরমারি আমলিরতল গ্রামের গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, কুতুবপুর ও গোপালপুর আইরমারি আমলিরতল গ্রামের গুচ্ছ গ্রামে মোট ৬০ টি ঘরের রয়েছে, ২৪ টি ঘর গোপালপুর ইউনিয়নে বাকি ৩৬ টি ঘর কুতুবপুর ইউনিয়নের মধ্যে পড়েছে। এর মধ্যে গোপালপুর ইউনিয়নের আমলিরতল গ্রামের ২৪ টি ঘরের মধ্যে ৫টি ঘর ইতিমধ্যে বিক্রি হলেও বাকি ১৯টি ঘরের মধ্যে ১০টি ঘরে পরিবার বসবাস করেন ও বাকি ৯টি ঘর ফাঁকা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় ব্যক্তিরা।

সরেজমিনে জানা যায়, সরকারের দেওয়া গুচ্ছ গ্রামের ঘর জেয়াদুল ইসলাম বিক্রি করেন সাজুর কাছে ২০ হাজার টাকায়। নার্গিস বেগমের ঘর তোফায়েল আহমেদের কাছে বিক্রি করেন ১৫ হাজার টাকা। আকলিমা বেগমের ঘর বিক্রি করেন ৩০ হাজার টাকা। রতনের ঘর বিক্রি করেন সবেদ আলীর কাছে ৪০ হাজার টাকায় ও চাঁদ মিয়া  ঘরের টিন এ্যাঙ্গেল খুলে নিয়ে যায় তার ছেলে আখেরুজ্জামান।

এ বিষয়ে গুচ্ছ গ্রামের ঘর ক্রয় করে বসবাস করা মোছা. রহিমা খাতুন বলেন, এক বছর আগত ৩০ হাজার টাকা দিয়ে আকলি খাতুনের কাছ থাকি ঘর কিনছু। সেই ঘরত এখন আছু।

সরকারের দেওয়া গুচ্ছ গ্রামের অন্য আরেকটি ঘর বিক্রয় করেছেন রতন মিয়া। সে গত ৪৫ দিন আগেই মারা গিয়েছে। 

তার স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে কেন ঘর বিক্রি করেছেন রতন মিয়া- তার স্ত্রী স্বীকার করে বলেন, টাকার বিনিময়ে ঘর বিক্রি করেছে আমার স্বামী রতন মিয়া। 

তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী রতন মিয়া গোপনে ৪০ হাজার টাকায় সবেদ আলীর কাছে বিক্রি করেছেন আমি জানতাম না। ছবেদ আলী একদিন বাড়িতে এসে বলেন- রতন মিয়া ৪০ হাজার টাকায় স্ট্যাম্প করে দিয়ে ঘর বিক্রি করে দিয়েছে। সবেদ আলী স্ট্যাম্প দেখিয়ে ঘর খালি করতে বলে। কোন উপায় না পেয়ে গুচ্ছগ্রামের ঘর ছেড়ে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ওঠেন রতনের স্ত্রী। 

তিনি আরো বলেন, আমি শুধু ৫ হাজার টাকা পেয়েছি।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে সবেদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি রতনের কাছ থেকে গুচ্ছগ্রামের একটি ঘর স্ট্যাম্প করে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি। আমি সেই ঘরের টিন লোহার অ্যাঙ্গেল খুলে নিয়ে এসেছি। এখনো ঘরের চালা ওখানে রয়েছে।

উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামসুল আলম বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ অবগত করেনি।এ সম্পর্কে আমি কিছু জানা নেই।

এ বিষয়ে ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহফুজুর রহমান বলেন, আমি কয়েকদিন আগে জানতে পেরেছি। গুচ্ছ গ্রামের দুইটি ঘরের টিন লোহার এঙ্গেল খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে সচিবের নির্দেশে গ্রাম পুলিশ নিয়ে গিয়ে বাঁধা দিয়ে এসেছি।

গোপালপুর ইউনিয়নের ইউপি সচিব মো. ফুলবাবু বলেন, যেদিন গুচ্ছ গ্রামের ঘরের টিন গুলো খুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল আমি বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ইউপি সদস্য ও গ্রাম্য পুলিশকে পাঠিয়ে দেই। তারা বাধা দিয়ে চলে আসে।

উপজেলা পিআইও কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র জানান, গুচ্ছগ্রামের ঘর গুলো সরকারিভাবে ২০২০ সালে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গুচ্ছগ্রামের কোন ঘর কেউ বিক্রি করতে পারবে না।

এ বিষয়ে বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাঈদ বলেন, যাদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কেবল তারাই ঘরে বসবাস করতে পারবেন। গুচ্ছগ্রামের ঘর কোনোভাবেই বিক্রি বা হস্তান্তরের সুযোগ নেই। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2023 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.