পাবনা ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের সাঁড়াঘাটে পদ্মানদীর ভাঙ্গনরোধে বালু ভর্তি (জিইও ব্যাগ) বস্তা ডাম্পিং করার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে আওয়ামীলীগের স্থানীয় এমপি পাবনা-৪ বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস একাজের উদ্বোধন করেন।
এই সময় ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র মোঃ ইছাহক আলী মালিথা, সাঁড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আব্দুর রশিদ, আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুর রহমান দাদু, মুরাদ আলী মালিথা, ইমরুল কায়েস দারা, জাহিদ হোসেন জাহিদ বাবু, যুবলীগ নেতা তৌহিদুজ্জামান দোলন বিশ্বাস, মিলন চৌধুরি, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মাসুদ রানা, ছাত্রলীগ নেতা আমজাদ হোসেন অবুজ, পাবনা পানি উন্নয়ন রোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মাদ মোশাররফ হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পাবনা পানি উন্নয়ন রোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সুত্র জানায়, ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের হার্ডিঞ্জ ব্রিজ থেকে সাঁড়া ইউনিয়নের আড়মবাড়িয়া পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার পদ্মানদীর তীরের মধ্যে মধ্যে পাকশীতে দুই কিলোমিটার এবং সাঁড়াতে ৫ কিলোমিটার নদীর তীর ব্লক দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু মাঝে সাঁড়া ৫ নং ঘাট এলাকার এক কিলোমিটার পর্যন্ত নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণ বাদ রয়েছে। আর এখানেই প্রতি বছর নদীতে পানি বাড়ার পর সামান্য পরিমাণে ভাঙ্গন দেখা দেয়। আর নদীতে পানি কমা শুরু হলে ভাঙ্গন ব্যাপক আকার ধারণ করে।
সূত্রমতে, বর্তমানে পদ্মানদীর ভাঙ্গন আবাসিক এলাকা থেকে স্থান ভেদে ১০ মিটার থেকে একশ মিটার পর্যন্ত দূরে রয়েছে। কিছু এলাকা যেকোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে। কিছু এলাকায় ব্লক দিয়ে নির্মাণ করা বাঁধও ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এই জন্য ভাঙ্গনরোধে সাঁড়ার ৫ নং ঘাট এলাকায় খনন করানোর উদ্যোগ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবগত করা হয়েছে। কিন্তু খননের বিষয়ে তেমন কোন উদ্যোগ গ্রহন না করায় কয়েক কোটি টাকা খরচ করে আবারও জিইও ব্যাগে বালু ভরে ভাঙ্গনরোধে ডাম্পিং করা হচ্ছে। অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ডের চাহিদা মত এলাকায় খনন করা হলে সরকার বালু বিক্রয়ের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা উপার্জন করতে পারবে। আবার প্রতি বছর ব্যাগ ফেলে কয়েক কোটি টাকা খরচ করাও বন্ধ হবে।
উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের ৫ নং সাঁড়াঘাটের বাসিন্দা এৎাজুর থান্ডার (৬৫), স্বপন হোসেন, মেম্বার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার নদী পাড়ের মানুষ। নদীতে পানি বাড়লে এক ধরণের আতংকে থাকি। আর পানি বাড়লে আরেক ধরণের আতংকে থাকি। আতংক যেন শেষ হচ্ছে না। ৫ নং সাঁড়াঘাটে বাঁধের কিছু এলাকায় পদ্মানদীতে খনন করলেই নদীর গতি পুর্ব দিক হতে পশ্চিম দিকে সরে যাবে। পশ্চিমে কোন জনবসতি নেই। ফসলের জমিও নেই। বালুর চর পড়ে নদীর গতি পশ্চিম দিক জনবসতি বাঁধের দিকে সরে এসেছে। প্রতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন বাঁধ নির্মাণ করবে বলে মাপযোগ করে যায়। কিন্তু বাঁধ আর নির্মাণ হচ্ছে না।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মাদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ভাঙ্গন রোধে বালু ভর্তি বস্তা ডাম্পিং করার কাজ শুরু করা হয়েছে। এখনই বলা যাচ্ছে না ঠিক কি পরিমাণ বস্তা ডাম্পিং করতে হবে। আর তাতে কত টাকা খরচ হবে। পুরোদমে কাজ শুরু করে বোঝা যাবে।
পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, পদ্মানদীর ভাঙনরোধে বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা চলছে। ভাঙনরোধে বালুর বস্তা ডাম্পিং করা হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh