পাবনার ঈশ্বরদীতে দফায় দফায় বিরোধী দলের ডাকা হরতাল-অবরোধে নাশকতার অভিযোগে ঈশ্বরদীর দুটি থানায় ৮টি মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলা গুলোতে ৫৪ জন আসামির নাম থাকলেও অজ্ঞাত দেখিয়েছে প্রায় ২৪৫ জন। এদের মধ্যে মোট ৫৩ জন গ্রেফতার হয়েছে বলে পুলিশ বিভাগের নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, বিগত ২৬ অক্টোবর হতে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত এসব মামলা দায়ের হয়েছে। এরমধ্যে ঈশ্বরদী থানায় ৭টি এবং মৈত্রি এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলার ঘটনায় রেল থানায় ১টি মামলা হয়েছে। মৈত্রি এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলার ঘটনায় রেল থানায় দায়েরকৃত মামলায় নামীয় কোন আসামী নেই। তবে এ মামলায় অজ্ঞাত আসামীর সংখ্যা ৪০-৪৫ জন।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার জানান, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারা এবং ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনের ৪/৫ ধারায় বেশীরভাগ মামলা দায়ের হয়েছে। হরতাল-অবরোধে নাশকতা প্রতিরোধ এবং সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় পুলিশ তৎপর রয়েছে।
প্রথম অবরোধের দ্বিতীয় দিনে গত (১ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কোলকাতা-ঢাকা চলাচল গামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঈশ্বরদীর লোকোশেড এলাকা অতিক্রম কালে অবরোধকারীরা ককটেল ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপসহ পাথর ছুঁড়ে মারে। এতে ট্রেনের ৭২১৯ কোচের জানালার দুটি গ্লাস ভেঙে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ককটেল ও পেট্রোল বোমার বোতল জব্দ করে।
এরপর ঈশ্বরদী জংসন স্টেশনের ইয়ার্ডে বগির নিচে থেকে ৩ নভেম্বর বোমা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বোমাটি নিস্ক্রিয় করেছে র্যাব-৫ এর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।
এছাড়াও দ্বিতীয় ধাপের অবরোধের প্রথম দিনে গত ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় শহরের ব্যস্ততম ঈশ্বরদী রেলগেট এলাকায় মূহুমূহু বোমা বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ঈশ্বরদী জুড়ে। এদিন অবরোধের সমর্থনে বিএনপির ২০-২৫ জন যুবক রেলগেটে এসে পরপর ছয়টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে রেল লাইনের ওপর আগুন জ্বালিয়ে অবরোধের সমর্থনে শ্লোগান দেয়। এসময় একটি ট্রাকে হামলা চালিয়ে সামনের গ্লাস ভাংচুর করে। বিকট শব্দে পর পর ককটেল বিস্ফোরিত হলে লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। মুহূর্তেই রেলগেট থেকে শুরু করে বাজার এবং শহরের প্রধান প্রধান সড়কের সকল দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রাণভয়ে সাধারণ মানুষ ছোটাছুটি শুরু করে