দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী ও ভয়ংকর অপরাধী চক্রের ডজন খানেক সদস্য, সক্রিয় সদস্য রয়েছে ভাঙ্গা রেলস্টেশন ও হাইওয়ে এক্সপ্রেস সড়ক এলাকায়। তারা দিনে বাসের হেলপার,রাজমিস্ত্রির শ্রমিক বা মাছের আড়তে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে সাধারণ দৃষ্টিতে এরকমই মনে হয়। আর রাত হলেই অপরাধের রাজত্বে ঢুকে পড়েন তারা।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ছিনতাইকারী চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানা গেছে।
সোমবার রাতে ভাঙ্গা থানা পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ২টি চাকু, ৩টি মোবাইল ও নগদ দেড় হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন পূর্ব হাসামদিয়া গ্রামের আক্কাস শেখের ছেলে দলনেতা জসিম শেখ (৩৩), তার সহযোগী একই গ্রামের হারুন মাতুব্বরের ছেলে পাপ্পু মাতুব্বর (২০) ও পশ্চিম হাসামদিয়া গ্রামের ওবায়দুর মিয়ার ছেলে সাকিব মিয়া (২৫)। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ওসি মো. জিয়ারুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে- ছিনতাইকারীদের একটি চক্র গড়ে উঠেছে। রাতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে ভাঙ্গা হাইওয়ে এক্সপ্রেস সড়কে নামেন যাত্রীরা। এরপর ভাঙ্গা রেলস্টেশনে ট্রেনে যাতায়াতের জন্য অনেক যাত্রীদের রাতে চলাচল করতে হয়। এই সুযোগে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা মোবাইল টাকাপয়সা ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে পালিয়ে যায়।
ওসি জানান, গ্রেফতারকৃত ৩ জনের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৬টির বেশি মামলা রয়েছে। তাদের একটি চক্র রয়েছে। তাদের অপরাধ আড়াল করতে তারা দিনে গাড়ির হেলপার ও কখনো রাজমিস্ত্রির কাজ বা মাছের আড়তে কাজ কর। রাত বাড়ার সাথে সাথে তারা হয়ে ওঠে ভয়ংকর অপরাধী।
গ্রেফতারকৃত তিন আসামি ছিনতাই করার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
ওসি আরও বলেন, এই দলের আরও বেশ কিছু সদস্য রয়েছে; তাদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।