শিশু অপহরণ ও মুক্তিপণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৫ বছরের পলাতক আসামি মো. মিজানুর রহমান (৩৭)কে রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪।  

গ্রেপ্তারকৃত মো. মিজানুর রহমান শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী থানার খৈলকুড়া গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর ছেলে। তাকে ঝিনাইগাতী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী থানার খৈলকুড়া গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর ছেলে মো. মিজানুর রহমান (৩৭) গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানাধীন ছয়দানায় মো. মোস্তফার বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো। মোস্তফার ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম সুমন (১০) পাশ্ববর্তী একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো। ২০০৮ সালের ১১ মে সন্ধ্যায় মাদ্রাসা হতে বাড়ি ফেরার পথে আসামি মো. মিজানুর রহমান ভিকটিমকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। আমিনুল ইসলাম সুমন মাদ্রাসা হতে সময়মত বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন মাদ্রাসায় না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে আসামি মো. মিজানুর রহমান মোবাইল ফোনে ভিকটিমের বাবাকে বলেন যে, মো. আমিনুল ইসলাম সুমন তার হেফাজতে আছে এবং ছেলেকে ফেরত পেতে হলে মুক্তিপণ হিসেবে এক লক্ষ টাকা দিতে হবে। পরবর্তীতে, ভিকটিমের বাবা জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন। এ ঘটনার পর থেকেই সে পালিয়ে যায়। ওই মামলায় গাজীপুর জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে র‌্যাব-১৪ ও র‌্যাব-৫ যৌথভাবে ১৭ নভেম্বর ভোরে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ীর পোতাহার (পালশাপাড়া) এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।

র‌্যাব-১৪ এর কোম্পানি কমান্ডার আশিক উজ্জামান রাতে সাংবাদিকদের জানান, গ্রেপ্তাকৃত আসামিকে আজ বিকেলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।