জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আন্তনগর ট্রেন যমুনা এক্সপ্রেসের ৩টি বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ৩টি বগি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
শনিবার দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটের দিকে সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে তারাকান্দি স্টেশনে যাওয়ার সময় চলন্ত ট্রেনটিতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আতংকিত কিছু যাত্রী ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে পড়েন।
সংবাদ পেয়ে সরিষাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনার পরই সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি রেলপথে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে আজ রবিবার ভোর ৫টায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
সরিষাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, রাত ১টা ২০ মিনিটে যমুনা ট্রেন আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত পৌঁছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। আগুনে ২টি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনো যাত্রী নিহত বা আহত হয়নি। আগুন লাগার বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
এ ব্যাপারে ট্রেনটির পরিচালক মাসুম মিয়া সাংবাদিকদের জানান, ‘ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর যমুনা এক্সপ্রেস সরিষাবাড়ীতে স্টেশনে আসে রাত ১টা ১০ মিনিটে। এখানে ৭ মিনিট বিরতির পর ট্রেনটি তারাকান্দি স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার সময় ৫০০ গজ দূরে স্টেশনের লোকজন আগুন আগুন বলে চিৎকার করলে প্রথমে দেখি ধুয়া বের হচ্ছে। দ্রুত ট্রেন থামিয়ে দেখি মুহূর্তে ট্রেনের একটি বগিতে থাকা আগুন অন্য বগিতে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ৩টি বগি পুড়ে যায়।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, রাত ১টা ১০ মিনিটে জামালপুর থেকে আসা আন্তনগর যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সরিষাবাড়ী স্টেশনে পৌঁছায়। এর ৭ মিনিট পর তারাকান্দির উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার সময় ৫ শ গজ দূরে ট্রেনটির পেছনের ৩টি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেন দুবৃত্তরা। পরে সংবাদ ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় জামালপুর রেলওয়ে থানার ওসি গোলজার হোসেন বলেন, ‘আমরা রাত ১টা ২০ মিনিটে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি নাশকতা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছি। তবে যারাই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা যাত্রী বেশে ট্রেনে অবস্থান করেছে। এর পেছনে হুকুমদাতা এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।