কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় গৃহীত অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্প চালু হয়েছে। প্রকল্পের সুবিধাভোগী নারী ও পুরুষ শ্রমিকরা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্প চালু হওয়াতে অতিদরিদ্র কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ দৃশ্যপট।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের সুবিধাভোগী শ্রমিকেরা গ্রামীণ জনপদের রাস্তা, সেতু, কালভার্ট, মাঠ, মসজিদ-মন্দিরে মাটি ভরাট এবং পুকুর সংস্কারে কাজ করছেন। এসময় শ্রমিকদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমাদের নিজ এলাকায় আমরা মাটি কাটার কাজ করছি। এই প্রকল্প চালু হওয়ায় আমাদের যেমন কাজের সুযোগ হয়েছে পাশাপাশি এলাকারও উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা সাধারণ শ্রমিক দৈনিক ৪০০ টাকা এবং আমাদের সর্দার ৪৫০ করে পারিশ্রমিক পাচ্ছি। আমাদের মোবাইল নাম্বারে মজুরির টাকা আসে। মাটি কাটা কাজ চালু হওয়ায় আমরা অনেক স্বস্তিতে আছি।
কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের কথা বলছেন সাধারণ মানুষজন। প্রকল্প এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের শ্রমিকদের মাধ্যমে ঈদগা মাঠ, গ্রামীণ রাস্তা, সেতু, কালভার্টে মাটি ভরাটের মধ্য দিয়ে এলাকার দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদ বলেন, কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের শ্রমিকদের মাধ্যমে আমার ইউনিয়নের বেশিরভাগ কাঁচা রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের মেম্বারগণ (ইউপি সদস্য) নিজ নিজ এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমেই আমার ইউনিয়নের গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা গুলোর আমুল পরিবর্তন হয়েছে। পাশাপাশি অনেক কর্মহীন গরিব অসহায় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা ত্রাণ পুনর্বাসন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সবুজ কুমার গুপ্ত জানান, উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ২ হাজার ৩৬০ জন অতিদরিদ্র মানুষ কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের আওতাভুক্ত হয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকা নির্ধারণের পর প্রকল্পের সুবিধাভোগী শ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের শ্রমিকদের মাধ্যমে গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন যাতে করা যায় সে লক্ষ্যে আমরা নিয়মিত প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করছি।