ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে শুঁটকিপল্লীর। বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী দুবলার চরের শুঁটকিপল্লী পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে।
ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে প্রায় ৪০ হাজার কুইন্টাল কাঁচা শুকনা ও আধা শুকনা মাছ।
ঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শুঁটকি উৎপাদনকারী চারটি চরের পাঁচ শতাধিক জেলেঘর, দুই শতাধিক শুঁটকি সংরক্ষণের ঘর ও আলোরকোলের শতাধিক দোকানির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মালামাল।
ঝড়ের ফলে চরে থাকা সকল ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। অপরদিকে প্রায় কোটি টাকার মত রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। শনিবার দুপুরে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও শুঁটকিপল্লির সিও এবং ক্ষতিগ্রস্ত শুঁটকিপল্লীর কয়েকজন ব্যবসায়ী মোবাইল ফোনে এ তথ্য জানান।
ব্যবসায়ীরা জানান, এই মৌসুমে সাগরে প্রচুর মাছ ধরা পড়ছিল। ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে সব স্বপ্ন ভেঙে গেছে। উড়িয়ে নিয়ে গেছে সকল মালামাল। আমাদের সবার কপাল খারাপ। মৌসুমের শুরুতে দুর্যোগে পড়ে তারা সকলেই নিঃস্ব হয়ে গেছে। ঝড়ে মাচা ও আড়ায় থাকা সমস্ত মাছ কাগজের মতো উড়িয়ে নিয়ে গেছে। মালামাল কুড়িয়ে আবার নতুন করে ঘর, মাচা, চাতাল ও আড়া তৈরী কর আবার ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করছে সবাই।
দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও শুঁটকিপল্লির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিও) মো. খলিলুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ঝড়ের আগে সমুদ্র থেকে ধরে আনা বহু তাজা মাছ সাগরে ফেলে দিয়েছেন জেলেরা। শুঁটকি উৎপাদনকারী মাঝের কিল্লা, আলোরকোল, নারকেলবাড়িয়া, শেলারচরসহ চারটি চর পরিদর্শন করেছি। সব চরেই ঝড়ের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি মাচা, চাতাল ও আড়ায় থাকা ৩৫ থেকে ৪০ হাজার কুইন্টাল মাছ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। ঢেকে রাখা আংশিক শুকনো মাছে পানি লেগে পোকায় ধরেছে। এগুলো দিয়ে আর শুঁটকি হবে না। সামনে বড় ধরনের কোনও দুর্যোগ না হলে এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।