মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার শাখারীবাজার জান্নাতুল জামে মসজিদের নামে শত বছরের ওয়াকফাকৃত পুকুর দখল করে দোকান নির্মাণের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রামপাল ইউনিয়নের শাখারীবাজার মৌজার আরএস ৩৪ নং খতিয়ানের, ৯১ নং দাগের, ৪৭ শতাংশ পুকুর (চান্দেরবিল) মসজিদের নামে শতবছর আগে ওয়াকফা করে দেয় স্থাণীয়রা। ওই ওয়াকফাকৃত জমির উওর অংশে পুকুরে ১৭ ফিট জায়গা নিজের ক্রয়কৃত সম্পত্তি দাবী করে রোকেয়া ইসলাম বাবলি (৩৫) নামের এক নারী।
আর এ শত বছরের পুকুরটিতে রয়েছে একাধিক পাকা ঘাটলা। সেখানে শত শত নারী-পুরুষ গোসল করেন। এছাড়াও এখানকার লোকজন পুকুরের পানি দিয়ে রান্নার কাজও করেন। স্থাণীয়রা বলেন পুকুরের উপরে দোকান নির্মাণ হলে দোকানের প্লাস্টিক ও বোতলের মাধ্যমে নষ্ট হবে পুকুরের পানি এতে ওই পুকুরের পানি আর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকবেনা ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পরবে।
এদিকে, ওই মসজিদ কমিটি লোকজন জানায় আমাদের ওয়াকফাকৃত পুকুরের উত্তরে রাস্তার অপর পারে ওই নারীর ক্রয়কৃত জমি। যেখানে তিনি আগেই বিল্ডিং নির্মাণ করেছেন । এখন সে অন্যায়ভাবে আমাদের ওয়াকফকৃত সম্পত্তি দখল করতে চাচ্ছেন।
ওই এলাকার মো. ইদ্দিস শেখ বলেন, পুকুরে এ আনুমানিক ৮-৯ শত লোক গোসল করে। পাকের পানি ব্যবহার হয়। দোকান নির্মাণ করলে পুকুরটি নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা দোকান নির্মাণ বন্ধ হউক এটাই চাই।
রামপাল ইউপির ৭নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল করিম বলেন, পুকুরের এখানে নতুন কোন স্থাপনা না হয় সে জন্য আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। পুকুরটা মসজিদের নামে ওয়াকফাকৃত। দোকান তৈরি করলে পুকুরটির পানি নষ্ট হবে। ওই পুকুরে ৬টি পাকা ঘাটলা আছে। হাজার লোক গোসল করেন। পানি রান্নার কাজে ব্যবহার হয়। শতবর্ষ আগের এ পুকুরটি এখন দখলের পাঁয়তারা চলছে।
অভিযুক্ত রোকেয়া ইসলাম বাবলি (৩৫) বলেন, আমি ২০১১ সালে ১৫ শতাংশ এবং গত বছর ৫৫ পয়েন্ট জমি ক্রয় করি। উত্তর অংশ বাড়ি নির্মাণ করছি। দক্ষিণে আমার জমির ওপর সরকারি রাস্তা গেছে। তার দক্ষিণে আমার মালিকানা ১৭ ফিট জমি রয়েছে। এলাকাবাসী আমাকে স্থাপন নির্মাণে বাঁধা দিচ্ছে। পরে আমি সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। আমি এর স্থায়ী সমাধান চাই।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, এক নারীর করা অভিযোগে ভিত্তিতে উভয় পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছিল। আগামী শুক্রবার জমি মেপে বিষয়টি সমাধান করতে বলা হয়েছে।