× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

মাধবপুরে শীতের আগমনে ব্যস্ত লেপ-তোশক কারিগররা

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

২১ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:৩৬ পিএম

সকালের শিশির ভেজা ঘাস, আর শীতল আবহে যেন জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। দিনে কখনো আবছা আলো আবার কখনো সূর্যের ঝিলিকে মৃদু আঁচের গরম অনুভুতি হলে ও শেষ বিকেলের কুয়াশা ঠাণ্ডার আবহ বাড়তে শুরু করেছে।

হবিগঞ্জের মাধবপুরে পরন্ত বিকেলের কুয়াশার রেশ ধরেই যেন শীতল হয়ে আসে আবহাওয়া। রাত ও ভোরের শিশির ভেজা হিমেল হাওয়ায় শীতের প্রকোপ বাড়ছে। ফলে বাড়তে শুরু করেছে শীত নিবারণে আরামদায়ক লেপ ও তোশকের চাহিদা। শীতের আগমনে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ও শহরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এখন লেপ-তোশক তৈরির কারিগররা। গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে কারিগররা।

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে উপজেলায় শীত নামতে শুরু করেছে। আগাম শীতের কারণে লেপ বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় খুশি ব্যবসায়িরা। একই সাথে বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় কাজের চাপে ব্যস্ত কারিগররা। লেপ তৈরির অগ্রিম বায়না নিচ্ছেন কারিগররা। ধারণা করা হচ্ছে এবার শীতের তীব্রতা বেশি হবে।

এদিকে স্থানীয় বাজারে ইতিমধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। তাই বাজারে লেপ তোশক ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায় ব্যবসায়ীরা লেপ তোশক তৈরি করে বিক্রির পাশাপাশি মজুদ করে রাখছেন।

লেপ কারিগর হেলাল মিয়া জানান, প্রতিদিন ৬ টি লেপ সেলাই করতে পারেন। লেপ প্রতি ১শ ২০ থেকে ১ শ ৫০টাকা করে দৈনিক ৭শ থেকে ৯শ টাকা রোজগার হয় তার।

লেপ তোশকের দর্জি আজগর আলী জানান,গরমের সময় বেশি কাজ থাকেনা রোজগার ও কম হয়। তবে এবার আগাম শীতের কারণে কাজের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে।

ক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম জানান, দোকানে একটি লেপ বানাতে প্রকারভেদে ১২শ থেকে ১৬শ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। গতবার যে লেপ বানাতে লাগতো ১হাজার টাকা সেটা এবার ১২শ টাকা খরচ পড়ছে।

অন্যদিকে লেপ তোশক ব্যবসায়ী ইকরা বেডিং স্টোরের মালিক সৈয়দ মিয়া জানান, বর্তমানে খোলা বাজারে প্রতি কেজি তুলার দাম ব্লেজার তুলা ৪০ টাকা, কাপাস ২৫০, গার্মেন্টস সাদা ওল ১২০-১৫০ টাকা, শিমুল তুলা ৫শ থেকে ৭শ টাকা কেজি দরে বেচাকেনা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবছর তুলার দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি লেপ তৈরি করতে প্রকারভেদে তুলা, কাপড়, কারিগর, দর্জি, সুতা সহ ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা খরচ পরে। লেপের আকার ও মানের ভিত্তিতে ১২শ থেকে ১৫শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন তিনি ৪-৫টি করে লেপ বিক্রি করছেন।

মাধবপুর বাজারের ব্যবসায়ি ইলিয়াছ মিয়া জানান, তার দোকানে বর্তমানে ভিন্ন আকার ও মানের ১শ ৫০টি লেপ তোশক মজুদ রয়েছে। এগুলো কয়েক দিন পর পর রোদে শুকিয়ে রাখেন। শীত বাড়ার সাথে সাথে বেচাকেনা বাড়ছে, তীব্র শীত পড়লে বেচাকেনা আরো বৃদ্ধি হবে।

তিনি আরো জানান, এটা মৌসুমী ব্যবসা। বিয়ে বা অর্ডারি ছাড়া সারাবছর লেপ তেমন বেচাকেনা হয় না। তাই শীত বাড়ার সঙ্গে বিক্রি বাড়ে। শীত বাড়লে মানুষ বেশি করে লেপ তোশক বানাবে, শীত বাড়লে বেচাকেনা বেশি হবে, বিক্রি বাড়লে লাভবান হবে এটাই তাদের চাওয়া।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.