× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

মোংলায় ৭ মাস পর কবর থেকে তোলা হলো ব্যবসায়ীর লাশ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

২১ নভেম্বর ২০২৩, ২০:২৩ পিএম

মোংলার মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলমের লাশ ৭ মাস ১০ দিন পর কবর থেকে তোলা হয়েছে। এর আগে ময়নাতদন্ত শেষে জেলে হিলটন নাথের পরিবারের হাতে পুলিশ তুলে দেয় এই লাশ। 

হিলটন নাথের বাড়িতে সমাহিত করা হয় লাশটির। কিন্তু লাশটি মাহে আলমের বলে স্বজনেরা দাবি করলে বাধে বিপত্তি। পরে ডিএনএ পরীক্ষার মধ্যমে জানা যায় লাশটি মাহে আলমের। এ ঘটনার প্রায় ৭ মাস পর হিলটন নাথ হিসেবে সমাহিত মাহে আলমের লাশ উত্তোলন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয় বাগেরহাটের আদালত।

জানা গেছে, চলতি বছরের ৭ এপ্রিল সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন জেলে মংলা উপজেলার চিলা এলাকার হিলটন নাথ। ঘটনার তিন দিন পর মোংলা বাজার থেকে নিখোঁজ হন কেওড়াতলা এলাকার বাসিন্দা মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলম। হিলটন নাথ হত্যা ও মাহে আলম নিখোঁজের ঘটনায় দাকোপ ও মোংলা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়। 

১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্র থেকে অর্ধগলিত একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ লাশটি হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ এপ্রিল খুলনার দাকোপ থানা-পুলিশ লাশটি তাঁর কাছে হস্তান্তর করে। তাদের সংস্কৃতি ও ধর্ম মতে তাদের বাড়িতেই সমাহিত করা হয় হিলটন নাথের লাশ। 

এর আগে নিখোঁজ মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল আমলি আদালত ‘গ’ অঞ্চল খুলনা হিলটন হিসেবে সমাহিত লাশটির ডিএনএ পরীক্ষার আদেশ দেন। হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথ ও মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা যায়, অজ্ঞাতনামা লাশটি মাহে আলমের। এ অবস্থায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে ৬ মাস ২৩ দিন পর বুধবার দুপুরে বাগেরহাটের (মোংলা) জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খোকন হোসেন লাশটি তুলে ছেলে সুমন রানার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। তাছাড়া ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট মহলকে মাহে আলমের লাশ হস্তান্তর করে প্রতিবেদন দিতে বলেন আদালত।

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চিলা এলাকা থেকে হিলটন নাথ হিসেবে সমাহিত মাহে আলমের লাশ তুলে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের করা হয়। সময় মোংলার সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার, উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবিবুর রহমান, মোংলা থানার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামছুদ্দিন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. গাজী আকবর হোসেনসহ উভয় পরিবার ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।

মাহে আলমের ছেলে সুমন রানা বলেন, ‘বাবার লাশ ফিরে পেতে টানা সাত মাসের বেশি সময় ধরে অবর্ণনীয় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছি আমরা। নানা আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালত লাশটি আমাদের হস্তান্তরের আদেশ দেন আদালত। এতদিনে শরীরের মাংসপিণ্ড সব গলে শেষ। তবু হাড়গোড় যা থাকে সেগুলো মুসলিম রীতি অনুযায়ী দাফন করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলাম আমরা। সোমবার বাবার লাশটি আমরা বুঝে পেয়েছি। তিনি তার বাবাকে হত্যা এবং লাশ গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2023 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.