গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ৯ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রীকে নিয়ে উধাও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক ও ছাত্রী তিনদিন ধরে উধাও হলেও এখনো খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি জানিয়েছেন কালিয়াকৈর থানা পুলিশ। এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা সমালোচনা। তবে মেয়েকে ফিরে পেতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আকুতি বাবার।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হলেন ঢাকার ধামরাই থানার জামিরাবাড়ী এলাকার বেলায়েত হোসেনের ছেলে রতন আলী। তিনি সাটুরিয়া শোলহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
এলাকাবাসী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার সাটুরিয়াচালা এলাকার সাটুরিয়া শোলহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রতন আলী এ ঘটনা ঘটান। গত ছয় মাস আগে তিনি ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ওই বিদ্যালয়ের গনিত বিষয়ের শিক্ষক। এরপর ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবসরে গেলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হন রতন আলী। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার তিনি তার চিকিৎসার কথা বলে ৩ দিনে ছুটি নিয়ে চলে যান। এরপর রোববার সকালে প্রাইভেট পড়ার কথা বলে ওই বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির মেধাবী এক ছাত্রীও বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। বিষয়টি বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা ও পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করেও তাদের কোনো হুদিস পায়নি। ছাত্রীকে নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনায় ওইদিনই তার বাবা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর থেকে উধাও হওয়া ছাত্রীসহ ওই শিক্ষককে খোঁজছে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ। এ ঘটনার পর ওই বিদ্যালয় ছাড়াও আশপাশের বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিভিন্ন এলাকায় নানা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এদিকে মেয়েকে ফিরে পেতে নানা আকুতি জানাচ্ছেন পরিবারের লোকজন।
ছাত্রীর বাবা আলী আহম্মেদ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ওই শিক্ষকের স্ত্রী-সন্তান থাকার পরও আমার অপ্রাপ্ত বয়সের অবুঝ মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে গেছে। সুস্থ অবস্থায় আমার মেয়েকে ফেরত চাই। আর শিক্ষক নামের ওই অমানুষের কঠিন বিচার চাই।
ওই বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য শামীম আল রাজী জানান, আমার মনে হচ্ছে এ ঘটনা একটি পরিকল্পিত ঘটনা। এ ঘটনা শুনার পর ওই শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি পুরোপুরি প্রমাণিত হলে তার সবোর্চ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম জানান, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে। তবে ওই ছাত্রীকে উদ্ধারসহ শিক্ষককে আটকের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, বিষয়টি জানার পর ওই শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। কিন্তু তাকে পাচ্ছি না। তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh