ভোলার চরফ্যাশনে সংবাদ প্রকাশের পর বিধবা মা ও প্রতিবন্ধী মেয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ)। জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করা এই মা-মেয়েকে নতুন টিনের ঘর তৈরি করে দিয়েছেন তারা।
বিধবা মা ও প্রতিবন্ধী মেয়ে হলেন-উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়ন ৩ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর চরমানিকা গ্রামের মৃত রহমান হাওলাদারের স্ত্রী আবেদা খাতুন (৬০) এবং তার প্রতিবন্ধী মেয়ে মমতাজ বেগম (৩৪)।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে পরিবার উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে করে দেওয়া নতুন ঘর তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ফারুক, পরিবার উন্নয়ন সংস্থার পিসি মো. ফারুক, দক্ষিণ আইচা পরিবার উন্নয়ন সংস্থার ম্যানাজার মো.বাছেদ, সহকারী পুষ্টিবিদ মো. তুর্জা, সাংবাদিক হাসান লিটন প্রমূখ।
গত ৩০ আগস্ট চরফ্যাশনে প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে বিধবার ভিক্ষায় চলে সংসার, ভাঙা ঘরে বসবাস' এ শিরোনামে দৈনিক সংবাদ সারাবেলা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদে তুলে ধরা হয় প্রতিবন্ধী মা-মেয়ের মানবেতর জীবনযাপনের গল্প। এই সংবাদটি নজরে আসে পরিবার সংস্থা (এফডিএ)র। এরপর সংস্থাটির নিজ অর্থায়নে নতুন ঘর তৈরি করে বুধবার ২৯ নভেম্বর সকালে ঘরটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ)-এর পিসি মো. ফারুক জানান, দৈনিক সংবাদ সারাবেলা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে তা আমাদের নজরে আসে। এরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিধবা মা ও প্রতিবন্ধী মেয়েকে একটি বসতঘর তৈরি করে দিয়েছি। আশা করছি তারা আরামে থাকতে পারবে।
বিধবা আবেদা খাতুন জানান, সাংবাদিক হাসান লিটন সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয় পরিবার উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তারা আমার ঘরটি পরিদর্শন করেন। এরপর মিস্ত্রিসহ টিন, খুঁটি, কাট নিয়ে এসে ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। নতুন ঘর তৈরি করে দিয়েছে তারা। নতুন ঘর পেয়ে আমি অনেক খুশি। এখন শীত কিংবা বর্ষাতে আর কষ্ট করতে হবে না। কখনও ভাবিনি আমার থাকার জন্য নতুন ঘর হবে। ঘর পেয়ে তিনি সাংবাদিক ও সংস্থার প্রতিনিধিদের জন্য দোয়া করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক জানান, সাংবাদিক হাসান লিটন সংবাদ প্রকাশ করার পর পরিবার উন্নয়ন সংস্থা এই অসহায় মা-মেয়ের পাশে দাঁড়িয়েছে তার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এবং সব সময় এই পরিবারটির দিকে দৃষ্টি রাখবেন বলে জানান।