সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গত দুই দিনে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষ্যাপা শিয়ালের কামড়ে নারী ও শিশুসহ ছয় ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছে। শিয়ালের কামড়ে আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসাও দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে হঠাৎ করে ক্ষ্যাপা শিয়ালের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চরম শিয়াল আতংঙ্ক বিরাজ করছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, নওগাঁ জিন্দানী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবু সাইদ খন্দকার।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্য এবং নিরাপদ আবাসের অভাবে হঠাৎ করেই তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষ্যাপা শিয়ালের উপদ্রব বেড়ে গেছে। মাঝে মধ্যেই কোন না কোন গ্রাম এলাকা থেকে শিয়াল লোকালয়ে ঢুকে লোকজনকে কামড়াচ্ছে এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার বিকালে উপজেলার দক্ষিণ চড় এলাকায় গ্রামের রাস্তা দিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে তামান্না খাতুন (৮), রাসেল সরকার (৭)কে ক্ষ্যাপা শিয়াল কামড়ে দেয়। এর আগে গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার নওগাঁ গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মঞ্জিলা খাতুন (৪৮), শাহিদা খাতুন (৪৬)সহ দুই দিনে অনন্ত ছয় জনকে শিয়াল কামড়ে দিয়েছে। এতে করে তাদের শরীরে বিভিন্ন অংশে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
শিয়ালের কামড়ে আহত নওগাঁ গ্রামের শাহিদা খাতুন বলেন, বিকালে ফসলী মাঠ থেকে ছাগল নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ করে পিছন থেকে তিন থেকে চারটি শিয়াল পায়ে কামড়ে দেয়। সেই সাথে শরীরে বিভিন্ন অংশে নখ বসিয়ে দেয়। পরে ভয়ে চিৎকার করলে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলেও শিয়াল গুলো যেতে চাচ্ছিল না। তাতে মনে হয়েছে শিয়াল গুলো মানুষের উপর ক্ষেপে আছে।
অবশ্য নওগাঁ গ্রামবাসী শিয়ালের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এবং লোকজনকে কামড়ানোর কারণে শনিবার সন্ধ্যায় তিন শিয়ালকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মোনোয়ার হোসেন বলেন, শিয়াল মানুষকে কামড়ে দিলে জলাতঙ্ক রোগের আশংকা থাকে। তাই প্রতিশেধক নিতে হয়। তিনি আহতদের দ্রুত হাসপাতালে এসে প্রতিশেধক নেওয়ার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি তিনি বলেন আরো বলেন, বন জঙ্গল উজার করায় নিরাপদ আবাসের অভাব এবং খাদ্য সংকট কারণে জীবন বিপন্ন হওয়ায় হয়তো লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে শিয়াল।