রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান কর্তৃক চাঁদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম ইসফাক আহসান (সিআইপি)’র মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সাথে তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন বলেও ঘোষণা দেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চাঁদপুর জেলা রিটানিং কর্মকর্তা।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার সময় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে চাঁদপুর-২ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করা হয়।
সেই সাথে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী আহসান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী এম ইসফাক আহসান (সিআইপি) এর মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করেন রিটানিং কর্মকর্তা। তার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে মনোনয়নের বিবরণ তুলে ধরেন বৈধ ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক।
পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার মানবতার নেতাখ্যাত এম ইসফাক আহসান। এসময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন এবাবের নির্বাচনে দলীয় নেতৃবৃন্দ স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হতে পারবেন। যার জনপ্রিয়তা আছে তিনিই ভোটে নির্বাচিত হবেন। জনগন যাকে মনে করবেন তাকেই ভোট দিবেন। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মত স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো জাতিকেই আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাচন ১০০ ভাগ সুষ্ঠু হবে। এ পর্যন্ত নির্বাচনের সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে হয়ে আসছে। তাই আমি নিজেও অত্যন্ত আনন্দিত সকল কার্যক্রমের ব্যপারে। প্রচার প্রচারণা এবং ভোগ গ্রহণও সুষ্ঠু হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। জনগণ যার ভোট সে দিবে, যাকে খুশি তাকে দিবে। জনগণের উপর আমার আস্থা আছে, বিগত দিনের কর্মকাণ্ড দেখে আমাকেই ভোট দিবেন এবং আমিই জয়যুক্ত হব, ইনশাল্লাহ।
এম ইসফাক আহসান আরো বলেন, আমার জনপ্রিয়তার উপর ঈর্ষান্বিত হয়ে ইতোমধ্যেই নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা আমার কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা এবং বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমার কর্মীদের বাড়িতে থাকতে দিবে না এবং মারধর করবে বলে পরিবেশ নস্ট করবে বলে ও হুমদি দিচ্ছে। তাই আমি রিটানিং কর্মকর্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগ নেতা মিরাজ খালিদ, মতলব পৌরসভার কাউন্সিলর সারোয়ার সরকার লিখন, এম ইসফাক আহসানের সমর্থনকারী আওয়ামী লীগ নেতা আক্তার হোসেন, প্রস্তাবকারী জেলা ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল সরকারসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।